ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : “১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ তৈরির জন্য ইন্দিরা গান্ধীকে যদি কৃতিত্ব দেওয়া হয়। তাহলে পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কেন কৃতিত্ব দেওয়া হবে না?” শনিবার অমিত শাহের মনোনয়ন জমা উপলক্ষে গুজরাটে এসে এই কথাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে এবার লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। শনিবার তাঁর মনোনয়নপত্র জমা উপলক্ষে এনডিএ-র অন্য নেতাদের সঙ্গে গান্ধীনগরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর এখানে এসে প্রধানমন্ত্রীর ক্রমাগত সমালোচনা করার জন্য বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেন রাজনাথ সিং। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু, সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঠিকঠাক কাজটা করেছিলেন আমাদের দেশের বীর সৈনিকরা। পাকিস্তানকে দু-টুকরো করে জন্ম দিয়েছিলেন বাংলাদেশের।”
[আরও পড়ুন- অন্য রূপে তৃণমূল প্রার্থী, বিবাদ ভুলে বিজেপি কর্মীর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন]
ওই যুদ্ধের পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী বিরোধী নেতা হয়েও ইন্দিরা গান্ধীর ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন বলেও শনিবার দলীয় সমর্থকদের জানান রাজনাথ। ওই সময়ের কথা উত্থাপন করে বলেন, “যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আমাদের নেতা সংসদে দাঁড়িয়ে ইন্দিরা গান্ধীর ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। এরপর গোটা দেশেও তাঁর জয়জয়কার হয়। কিন্তু, এখনকার কংগ্রেস নেতাদের সেই মানসিকতা নেই। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় চল্লিশেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হওয়ার পরে পাকিস্তানের বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানোর বিষয়ে বায়ুসেনার সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেনাকে বদলা নেওয়ার ছাড়পত্রও দিয়েছিলেন। কিন্তু, তার জন্য কংগ্রেস নেতারা মোদিকে কৃতিত্ব দেওয়া তো দূর, উলটে তাঁর সমালোচনা করছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.