Advertisement
Advertisement
নরেন্দ্র মোদি

স্বাধীনতা দিবসে প্রোটোকল ভাঙলেন মোদি, প্রধানমন্ত্রীকে ছোঁয়ার স্বাদ পেল কচিকাঁচারা

প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে উল্লাস মাতল নতুন ভারতের দূতরা।

Independence Day: PM Modi breaks barrier, reaches out to children
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 15, 2019 11:07 am
  • Updated:August 15, 2019 11:20 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এলেন, বললেন, জয় করলেন শিশুদের মন৷ প্রোটোকল ভেঙে স্বাধীনতার আনন্দে মাতলেন প্রধানমন্ত্রী, তাঁর সঙ্গে একদল কচিকাঁচা৷ ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লার মঞ্চ থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি হয়ে উঠলেন ‘কাছের মানুষ’৷ পতাকা উত্তোলনের পর ভাষণ দিলেন এবং আরও এক বিশেষ কৌশলে মন জয় করে নিলেন লালকেল্লা চত্বরে উপস্থিত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের৷

[আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতির বাড়বাড়ন্ত দমন করেছি’, ৩৭০ ধারা নিয়ে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মন্তব্য মোদির]

১৫ আগস্ট। বৃহস্পতিবার, স্বাধীনতা দিবসের সকাল। লালকেল্লা চত্বরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে পৌঁছে গিয়েছেন দেশের মন্ত্রী আমলা-সহ সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভাষণ দেবেন একটু বাদেই। চাক্ষুষ করা এবং তাতে সামিল হওয়ার আশায় প্রহর গুনছিলেন সবাই৷ চারদিক ছেয়ে গিয়েছে গেরুয়া, সাদা, সবুজের সমারোহে। হাজার হাজার মাথা এদিক-ওদিক করছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে উদগ্রীব দেশের ভবিষ্যতের দূতরাও। ম্যাচিং পোশাকে সেজেছে ওরাও। একদল গেরুয়া, অপরদল সাদা আবার কেউ বা সবুজ। দেশপ্রেমের গান যেন সেই আবহকে আরও উদ্দীপ্ত করে তুলেছে।

Advertisement

লালকেল্লা চত্বরে প্রতিবারই স্বাধীনতা দিবসের চিত্রটা একইরকম থাকে। কিন্তু এবার সেই গতে বাঁধা রীতিতে যেন একটু অন্যরকম ছোঁয়া৷ এদিন খুশির জোয়ারে ভাসলেন লালকেল্লা চত্বরে উপস্থিত থাকা সাধারণ মানুষ। কারণ, প্রধানমন্ত্রী যে তাঁদেরই সেই আনন্দে সামিল হতে তাঁদের মাঝেই পৌঁছে গিয়েছেন একেবারে ‘আম জনতা’রূপে। জনতার দরবারে মোদি একেবারে হয়ে উঠলেন আরও কাছের মানুষ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘পঞ্চায়েতে তৃণমূলের রিগিংয়ের বিরোধিতা করেছিলাম’, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিস্ফোরক শোভন]

বৃহস্পতিবার, জাতির উদ্দেশে ভাষণ শেষ হতেই জনগনের মাঝে চলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আবহে গা ভাসানোর এহেন অভিজ্ঞতা হয়তো উপস্থিত থাকা খুদেদের মধ্যে কারও জন্যে প্রথমবার। তবে তার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু গোটা দেশও আজ সাক্ষী রইল এক বিরল ঘটনার। প্রধানমন্ত্রী প্রোটোকল ভেঙে জনতার একেবারে কাছাকাছি পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে জনতা বলতে ‘ছাত্রছাত্রী’। গেরুয়া, সাদা, সবুজ ম্যাচিং পোশাকে সেজে আসা খুদেদের দলে উপস্থিত কেউ বা প্রধানমন্ত্রীর দিকে হাত বাড়িয়ে দিল স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বিনিময় সৌজন্যে। আবার কেউ বা প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে হাত বাড়াল দেশচালনের মূল কাণ্ডারীকে মুহূর্তের জন্য ছুঁয়ে দেখতে। মিটল উৎকণ্ঠা। উপস্থিত হাজার হাজার শিশুর সঙ্গে করমর্দন করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। মিলল স্বাধীনতা দিবসের স্বাদ। উল্লাস ফেটে পড়ল নূতন ভারতের দূতরা। অর্থাৎ আগামী প্রজন্ম। আর এই গোটা ঘটনার সাক্ষী থাকল দেশ। কেউ বা টিভির পর্দায় চোখ রেখে এই যজ্ঞে সামিল হলেন। কেউ বা লালকেল্লার ময়দানে।  

সবরকম প্রোটোকল ভেঙে জনতার দরবারে যখন সামিল হন দেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশের নবপ্রজন্ম, আগামীর দূতকে আরও উৎসাহ, অনুপ্রেরণা জোগানোর জন্য সেটাই বা স্বাধীনতার ‘সাধের’ চেয়ে কম কোথায়?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ