Advertisement
Advertisement

Breaking News

অরুণাচল সীমান্তের স্বর্ণখনি নিয়ে উত্তপ্ত হতে পারে ইন্দো-চিন সম্পর্ক

ফের ডোকলাম পরিস্থিতির ছায়া।

India-China relations can be in problem for gold mine
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 20, 2018 7:53 pm
  • Updated:August 12, 2021 5:29 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের দ্বন্দ্ব শুরু হতে পারে ভারত ও চিনের মধ্যে। দুই দেশের সীমান্তের মধ্যে সম্প্রতি আবিষ্কার হয়েছে একটি স্বর্ণখনি। অনুমান করা হচ্ছে এই খনিতে শুধু সোনা নয়, বিপুর পরিমাণে রুপোও পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চিন এই সুযোগ সহজে হাতছাড়া করতে চাইবে না। খনির কোনও অংশ যদি ভারতের মধ্যে পড়ে, সেগুলি হস্তগত চলতে পদক্ষেপ নিতে পারে চিন। ফলে ফের ডোকলামের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, এই খনিতে যে খনিজগুলি রয়েছে তার আনুমানিক মূল্য প্রায় ছ’হাজার কোটি ডলার। চিনের একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, খনিটি ভারতের সীমান্তে লুনজে প্রদেশে রয়েছে। জায়গাটি চিনের অধীন। চিন দাবি করলেও খনিটি কিন্তু ভারত-চিন সীমান্তে বলে জানানো হয়েছে। চিন এও বলছে, অরুণাচল প্রদেশ দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। মনে করা হচ্ছে, এই খনির কারণেই ফের অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের মানচিত্রে আনার জন্য লাফাতে পারে চিন। কারণ ইতিমধ্যেই চিনের সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, খনি অঞ্চলের মানুষের মতে সেটি দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। আর দক্ষিণ তিব্বত বেজিংয়ের অধীন।

Advertisement

[ উপহার না দিয়ে মুম্বইয়ের সংস্থায় দান করুন, হ্যারি ও মেগানের অভিনব আবেদন ]

Advertisement

চিন লুনজের আশপাশের অঞ্চলে ইতিমধ্যেই পরিকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু করে দিয়েছে। এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নিজেদের দাবি জানানোর এটি প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর এক মাসের মধ্যেই চিন থেকে বিশেষজ্ঞরা এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। ডোকলাম ইস্যু নিয়ে প্রায় ৭৩ দিন মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল ভারত ও চিন সেনা। এবার এই ইস্যু নিয়ে ফের দুই দেশের রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র সরগরম হতে পারে।

[ ১৫ দিনে বাংলাদেশে গুলিযুদ্ধে ১১ শীর্ষ মাদক কারবারি নিকেশ ]

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, এই খনিটি পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালার কোলে অবস্থিত। জায়গাটি অত্যাধিক দুর্গম। কিন্তু চিন পরিকাঠামোর উন্নতি করায় যাতায়াত এখন কিছুটা সহজ হয়েছে। ফলে সামনে এসেছে খনিজ থাকার খবরও। জানা গিয়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী খনিজগুলি এখানে রয়েছে। লুনজে ও তিব্বতের অন্য অনেক এলাকায় এমন কিছু খনিজ রয়েছে যা সত্যিই দুর্মূল্য।

আবিষ্কৃত হওয়া এই খনিগুলি ফের দক্ষিণ চিন সাগরের মতো ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। এলাকায় খনিগুলি আবিষ্কার করছেন চায়না ইউনিভার্সিটি অফ জিওসায়েন্সের বিজ্ঞানী ঝেং ইউয়ে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাজ এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনও অনেক সমীক্ষা করতে হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ