সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) যুদ্ধ-যুদ্ধ আবহ। ভারত-চিন দুপক্ষই সমর সজ্জায় খামতি রাখছে না। এ বলে আমায় দেখ তো, ও বলে আমায় দেখ! দুপক্ষের মধ্যেই টানটান স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত মহাসাগরে যৌথ নৌ-মহড়া সারল ভারত ও জাপান। টুইট করে সে কথা ঘোষণা করেছে দুদেশেরই নৌসেনা। বলাই বাহুল্য, লালফৌজের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে এই নৌ-মহড়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
শনিবার ভারত মহাসাগরে ভারত ও জাপানের দু’টি করে মোট চারটি যুদ্ধ জাহাজ মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। ভারতের তরফে ছিল আইএনএস রানা ও আইএনএস কুলিশ। জাপানের তরফে ছিল জেএস কাশিমা ও জেএস সিমাইুকি। প্রসঙ্গত, রবিবার টুইট করে জাপানের তরফে এই মহড়ার কথা জানানো হয়। এ নিয়ে গত তিনবছরে যৌথভাবে মোট ১৫টি মহড়া হল বলে খবর মিলেছে।
27 JUN, JS KASHIMA (TV 3508) and JS SHIMAYUKI (TV 3513), the JMSDF Training Squadron, conducted an exercise with INS RANA and INS KULISH, Indian Navy at the Indian Ocean. JMSDF promoted mutual understanding with Indian Navy through this exercise. pic.twitter.com/obiXOSVULH
— Japan Maritime Self-Defense Force (@jmsdf_pao_eng) June 28, 2020
[আরও পড়ুন : গালওয়ান উপত্যকায় কালো ত্রিপলের ছাউনি চিনাদের! নয়া উপগ্রহ চিত্রে বাড়ছে ধোঁয়াশা]
এ প্রসঙ্গে ন্যাশনাল মেরিটাইম ফাউন্ডেশনের ভাইস অ্যাডমিরাল প্রদীপ চৌহান বলেন, “দুই দেশের কৌশলগত যোগাযোগের বিষয়গুলি ভাগাভাগি করে নিতে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। আমরা আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছি। চিনও জানে জাপান ও আমেরিকার সঙ্গে আমাদের কতটা মজবুত সম্পর্ক।” একইসঙ্গে তিনি জানান, এই মহড়া মূলত কৌশলগত (Tactical) ও যোগাযোগ (Communication Training) প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয় জোর দেওয়া হয়েছিল। রুটিন মহড়া ছিল, কোনও যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে মুখে যাই বলা হোক না কেন, এই নৌ মহড়া যে বেজিংয়ের রক্তচাপ বাড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
[আরও পড়ুন : পাকিস্তানেই জামাই আদরে রয়েছে মুম্বই হামলার চক্রী সাজ্জাদ মীর, প্রকাশ্যে আস্তানার হদিশ]
প্রসঙ্গত, জামান একমাত্র দেশ যে ডোকলাম সমস্যা চলাকালীন সরাসরি ভারতকে সমর্থন করেছিল। এমনকী, গালোয়ানে ২০ ভারতী সেনা শহীদ হওয়ার পর শোকপ্রকাশ করেছিল সূর্যদয়ের দেশ। ফলে জাপানের সঙ্গে এই যৌথ মহড়া যে বেজিংকে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দেবে, তা বলাই বাহুল্য।