সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোরক্ষকের দাদাগিরি নিয়ে যতই লাফালাফি হোক, গোমাংস রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশকে টেক্কা দিতে চলেছে। ‘ইউনাইটেড স্টেটস অব এগ্রিকালচার’ বা ইউএসডিএ সূত্রের জানানো হয়েছে, এবছরের শেষে গোমাংস রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে চলেছে ভারত। গতবছর ভারত ছিল তৃতীয় স্থানে।
[স্বাধীনতা সংগ্রামী কুম্ভরামকে ‘কুম্ভকর্ণ’ বলে বিপাকে রাহুল, কটাক্ষ মোদির]
মোদি জমানায় কার্যত গোলাপি বিপ্লবের পথেই ভারত। সম্প্রতি বার্ষিক রিপোর্টের একটি অংশ পেশ করেছে ‘ইউনাইটেড স্টেটস অব অগ্রিকালচার’ বা ইউএসডিএ। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ না করা হলেও তাতে গোমাংস রপ্তানিকারী প্রথম চারটি দেশের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ভারত। একটুর জন্য ব্রাজিলের কাছে প্রথম স্থানটি হাতছাড়া হয়েছে। ইউএসডিএ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রথম চারটি দেশই গোটা বিশ্বের মোট গোমাংসের ৬৬ শতাংশ রপ্তানি করে। ব্রাজিল থেকে রপ্তানি করা হয় ১৯.৩৩ শতাংশ গোমাংস। এরপরই রয়েছে ভারত। আমাদের দেশ থেকে গোমাংস রপ্তানি হয় ১৮.১৪ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়ায় ও আমেরিকা। অস্ট্রেলিয়া থেকে ১৫.৩৭ শতাংশ এবং আমেরিকা থেকে ১৩.১০ শতাংশ গোমাংস রপ্তানি করা হয়।
[এনআরসি-র পর প্রথম নির্বাচন, অসমের পঞ্চায়েত ভোটে নজর গোটা দেশের]
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার একটি বড় অংশ আয় হয় এই গরুর মাংস রপ্তানি থেকে। আর তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে এনডিএ সরকারের আমলে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ভারতের অবস্থান ছিল তৃতীয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন ও অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের রিপোর্ট এই তথ্য রয়েছে। সেসময় সবমিলিয়ে সারা বিশ্বে ১০.৯৫ মিলিয়ন টন গোমাংস রপ্তানি হয়। তার মধ্যে ১৬ শতাংশ রপ্তানি করেছিল ভারত। ভারতের আগে ছিল অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিল। অর্থাৎ, এবছর ভারতের গোমাংস রপ্তানির পরিমাণ প্রায় আড়াই শতাংশ বেড়েছে। উল্লেখ্য, ভারতে গবাদি পশুর সংখ্যার বিচারে ভারত বিশ্বে প্রথম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামিদিনে ভারতের গোমাংস শিল্পে প্রচুর সম্ভাবনা। সরকার যদি উদ্যোগ নেয় তাহলে অচিরেই ব্রাজিলকেও টপকে যেতে পারে ইন্ডিয়া।