সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও ঘাতক ভারতীয় সেনা। এবার শক্তি বাড়িয়ে আকাশ মিসাইলের অত্যাধুনিক সংস্করণের সফল উৎক্ষেপণ করল ‘ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (ডিআরডিও)। চলতি মাসে এনিয়ে দু’বার ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হল।
[আরও পড়ুন: সীমান্তে ওত পেতে পাকিস্তানি ট্যাঙ্ক, মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করছে ভারত]
ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনার হাতে চলে এসেছে মাটি থেকে হাওয়ায় (সারফেস টু এয়ার) আক্রমণে সক্ষম আকাশ মিসাইল। ফলে এর মারণ ক্ষমতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। সোমবার এই মিসাইলের সঙ্গে যুক্ত করা হয় এক বিশেষ ধরনের ‘সিকার’। এই যন্ত্রটি হচ্ছে মিসাইলের চোখ এর মাধ্যমেই লক্ষ্যবস্তু খুঁজে বের করে যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র। ডিআরডিও সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ‘সিকার’ নিজের কাজ ১০০ শতাংশ নির্ভুলভাবে করেছে। ‘ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর অন্তর্গত নাগ, অগ্নি, ত্রিশূল, পৃথিবী ও আকাশ মিসাইল তৈরি করে ভারত। এই পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন ‘মিসাইল ম্যান’ প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম।
২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থলসেনা ও বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় আকাশ মিসাইল সিস্টেম। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস-এর মতোই সুপারসনিক। এর সর্বাধিক গতি হল ২.৫ ম্যাক (৩০৮৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা)। এটি মধ্যম পাল্লার মিসাইল, যেটা ২৫ কিমি পর্যন্ত দূরে থাকা লক্ষ্যকে সহজেই ধ্বংস করতে পারবে। ৬০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করতে সক্ষম আকাশ মিসাইল। এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল নিমেষেই ধ্বংস করতে সক্ষম।
বালাকোট হামলার পর আপাতদৃষ্টিতে পরিস্থিতি শান্ত মনে হলেও উত্তেজনা তুঙ্গে ভারত-পাক সীমান্তে৷ যে কোনও সময় বেজে উঠতে পারে যুদ্ধের দামামা৷ তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তান সীমান্তে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী৷ এই সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে আকাশ মিসাইলও। তাই ক্ষেপণাস্ত্রটির নিশানা আরও নির্ভুল করে তুলতে অত্যাধুনিক নয়া সিকার লাগিয়েছে ডিআরডিও। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আকাশ মিসাইলের নিশানা ও কর্মক্ষমতা একাধিক ত্রুটির অভিযোগ জানিয়েছিল সেনাবাহিনী। তারপর থেকেই ক্ষেপণাস্ত্রটির আরও আধুনিক সংস্করণ তৈরি করা হয়।
[আরও পড়ুন: বাদ পড়ল পাকিস্তান, মোদির শপথ গ্রহণে আমন্ত্রিত বিমস্টেক গোষ্ঠীর রাষ্ট্রপ্রধানরা]