সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাঁড়াশি চাপে বিতর্কিত ধর্মগুরু জাকির নায়েক। ধর্মের নামে হিংসা ও সন্ত্রাসে উসকানি দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল জাকির। এখন মালয়েশিয়ায় রয়েছে সে। এবার ওই বিতর্কিত ধর্মগুরুকে ফিরিয়ে আনতে সে দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত।
[রাধাকে খুনের আগে দৈহিক চাহিদা মেটায় ধৃত প্রেমিক]
শুক্রবার, জাকির নায়েককে নিয়ে একটি বিবৃতি দেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। তিনি জানান, জাকির নায়েকের প্রত্যর্পণ নিয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে। প্রায় সম্পূর্ণ হতে চলছে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া। এছাড়াও কুয়ালালামপুরের ও দিল্লির মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। তাই বেশিদিন আইনের নাগালের বাইরে থাকতে পারবে না নায়েক। উল্লেখ্য, অক্টোবরেই জঙ্গিযোগ থেকে শুরু করে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর একাধিক অভিযোগ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের আদালতে চার্জশিট দাখিল করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির দাবি, যুবকদের সন্ত্রাসবাদে প্ররোচিত করছে ওই বিতর্কিত ধর্মগুরু। শুধু তাই নয় তার সংস্থা ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর কাজ করছে নায়েক। এমনকী ভারতীয় যুবকদের মগজধোলাই করে ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার জন্যও উসকানি দিচ্ছে সে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভারতে ‘পিস টিভি’ নামের একটি চ্যানেলের মাধ্যমে বেশ কয়েকবছর থেকেই সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে নায়েকের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে নানা আলোচনা হলেও অজানা কারণে কোনও পদক্ষেপ করেনি মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে তৎকালীন ইউপিএ-২ সরকার। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে পালাবদলের পর জাকির নায়েকের উপর তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। ২০১৬ সালে জঙ্গিযোগের অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয় ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন’কে। কয়েকদিন আগেই পুলিশের কাছে জেরায় আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে জাকির নায়েকের আঁতাঁত ও ঘনিষ্ঠতার কথা ফাঁস করে দাউদের ভাই ইকবাল কাসকার। ডি-কোম্পানির সঙ্গে জাকির নায়েকের দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক লেনদেন রয়েছে। শুধু হাওয়ালার মাধ্যমেই তাদের মধ্যে কোটি কোটি আর্থিক লেনদেন হত।
[‘ড্রাগন’ বধে ভারতের হাতে আসছে বিধ্বংসী ‘গ্লাইড বম্ব’ ]