Advertisement
Advertisement

Breaking News

Poseidon-8I

চিন্তায় চিন, ভারতীয় নৌসেনার হাতে এল আরও এক সাবমেরিন বিধ্বংসী বিমান

বিমানগুলিতে রয়েছে অত্যাধুনিক হারপুন ব্লক-২ ক্ষেপণাস্ত্র।

Indian Navy receives ninth P-8I surveillance plane | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 19, 2020 10:44 am
  • Updated:November 19, 2020 11:53 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৌসেনার শক্তি বাড়িয়ে ভারতে এসে পৌঁছেছে অত্যাধুনিক সাবমেরিন বিধ্বংসী Poseidon-8I যুদ্ধবিমান। আমেরিকার পর ভারতের কাছেই এই বোয়িং নির্মিত বিমানটির সবচেয়ে বড় সম্ভার রয়েছে।

[আরও পড়ুন: পাক সেনার আল কায়দা যোগ থেকে লাদেন হত্যা, আত্মজীবনীতে অকপট ওবামা]

বুধবার গোয়ায় নৌসেনার নাভাল এয়ারবেসে এসে পৌঁছয় নবম বিমানটি। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে ভারতীয় নৌসেনার হাতে রয়েছে ৯টি Poseidon-8I বিমান। ২০০৯ সালে এই বিমনটির প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রেতা হিসেবে ৮টি বিমান খরিদ করতে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। ২.১ বিলিয়ন ডলারের ওই চুক্তি মোতাবেক ৮টি বিমান নয়াদিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার পর আরও ৪টি বিমান ক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় ভারত। গতকাল সেই চারটি বিমানের প্রথমটি গোয়ায় এসে পৌঁছায়। চলতি বছরের মধ্যেই বাকি বিমানগুলিও ভারতীয় নৌসেনার হতে চলে আসবে বলে খবর। প্রসঙ্গত, গালওয়ান উপত্যকায় লালফৌজের সঙ্গে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর থেকে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না ভারত। তাই শান্তি আলোচনা চললেও লড়াইয়ের জন্য সেনাবাহিনীকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৯৬২ সালের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই দ্রুত সেনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করছে নয়াদিল্লি। আর মার্কিন মদতে ভারতের বেড়ে ওঠা অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন চিন।

উল্লেখ্য, Poseidon-8I বিমানগুলি ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য বিশেষভাবে তৈরি। উপকূল এলাকায় নজরদারি, শত্রুপক্ষের জাহাজ এবং সাবমেরিনের অবস্থান জানা এবং প্রয়োজনে আঘাত হানতে এই যুদ্ধবিমানগুলির জুড়ি মেলা ভার। বিমানগুলিতে রয়েছে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত করতে সক্ষম অত্যাধুনিক হারপুন ব্লক-২ ক্ষেপণাস্ত্র, হালকা ওজনের টর্পেডো ও ডেপথ চার্জ (সাবমেরিন ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়)। শক্তিশালী রেডিও সিগনালের মাধ্যমে যা কিনা শত্রুপক্ষের সাবমেরিন এবং জাহাজ, দুই-ই ধ্বংস করতে সক্ষম। বর্তমানে তামিলনাড়ুতে নৌসেনার বিমানঘাঁটি আইএনএস রাজালিতে রয়েছে একটি P-8I squadron। সম্প্রতি লাদাখে চিনের সঙ্গে সঙ্ঘাত চলাকালীন এই বিমানের মাধ্যমেই নজরদারি চালানো হয়। ২০১৭ সালে ডোকালামে দুই দেশের বাহিনী যখন মুখোমুখি অবস্থান করছিল, সেইসময়ও নামানো হয় এই বিমান।

[আরও পড়ুন: চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে মাঝ আকাশ থকে উধাও তাইওয়ানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ