Advertisement
Advertisement

Breaking News

WTO Attack

জেহাদি উন্মাদনা নয়, ভারতে ৯/১১-এ ধ্বনিত স্বামীজির ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ বার্তা

৯/১১- শুনলেই ভেসে ওঠে ভয়াবহ সন্ত্রাসের ছবি।

India's own 9/11 preaches Swami Vivekananda's teachings
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 11, 2020 3:21 pm
  • Updated:September 12, 2023 7:03 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯/১১- শুনলেই ভেসে ওঠে ভয়াবহ সন্ত্রাসের ছবি। একে একে হামলা হয়েছিল আমেরিকার টুইন টাওয়ারে। সন্ত্রাসের সেই ভয়াবহতায় শিউরে উঠেছিল গোট বিশ্ব। তারপর থেকে এই দিনটি যেন সন্ত্রাসের সঙ্গেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে। ঘুরেফিরে সেই একই ছবি। কিন্তু শুধু কি তাই? ভারতবর্ষের অন্তত একটা নিজস্ব ৯/১১ আছে। যেদিন শিকাগো মহাসভায় ভারতীয় বৈদিক ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন এক তরুণ সন্ন্যাসী। স্বামী বিবেকানন্দের সেই ঐতিহাসিক বক্তৃতার কথা স্মরণ করলে আজও গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।

[আরও পড়ুন: করোনা রুখতে আক্রান্তদের গুলি করে খুনের নির্দেশ দিয়েছেন কিম! দাবি মার্কিন সেনাকর্তার]

প্রায় দু’দশক আগে আজকের দিনেই প্রথমবার শোনা গিয়েছিল একটি বিশেষ সংজ্ঞা–গ্লোবাল জিহাদ। সামনে এসেছিল আরও কয়েকটি নাম যেমন–আল কায়দা, ওসামা বিন লাদেন। ওই অভিশপ্ত দিনটির পর থেকেই পালটে যায় বিশ্ব। শুরু হয় জেহাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার লড়াই। বাকিটা ইতিহাস। টন টন বোমা ও মিসাইল ছুঁড়ে আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়াকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেও মুসলিম সন্ত্রাসবাদকে কাবু করা যায়নি। এহন সময়ে আজও চিরন্তন সত্য স্বামীজীর সম্বোধন, ‘ভ্রাতা ও ভগীনিগণ’। সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সনাতন ধর্মের নির্যাস যে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ সেটাই প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছেন স্বামীজী।

Advertisement

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্ব ভয়াবহ সন্ত্রাসের এক দৃশ্যে শিউরে উঠেছিল। তারপর থেকে গোটা বিশ্ব জুড়েই ৯/১১ মানেই এই কথাই ঘুরেফিরে আসে। কিন্তু ভারতবর্ষের মতো ঐতিহ্যবাহী দেশের নিজস্ব ৯/১১ আছে। যেদিন বিশ্বের মঞ্চে ভারতের ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। প্রায় সহায় সম্বলহীন। পদে পদে প্রতিকূলতা। কিন্তু কোনওকিছুতেই সেদিন দমে যাননি তরুণ সন্ন্যাসী বিবেকানন্দ। ভরসা ছিল গুরুর আশীর্বাদে। তা মাথায় করেই বিশ্ব জয় করেছিলেন। আমেরিকার ভ্রাতা ও ভগীনিগণ- এই সম্বোধনে যার শুরু হয়েছিল বিদেশে বৈদিক ধর্মের প্রতিষ্ঠাতে তার সমাপ্তি। দেশের ধর্মের ঐতিহ্যের চাবি হাতে করে সেদিন বিদেশে পৌঁছেছিলেন স্বামীজি। প্রাচ্যের ভাবনায় খুলেও দিয়েছিলেন প্রতীচ্যের ভাবনার দরজা। বক্তৃতার পর বক্তৃতায় জোগাড় করেছিলেন অর্থ। যা দিয়ে পরাধীন ভাতবর্ষকে মুক্তির সন্ধান দিয়ে শুরু করেছিলেন শিবজ্ঞানে জীবসেবার বিরাট কর্মকাণ্ড। এর শুরুটা ছিল ১৮৯৩ সালের ওই ৯/১১–তেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যা রুখতে ব্যর্থ, EU’র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান থেকে বহিষ্কৃত সু কি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ