সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্মার্ট ফোনের দৌলতে বিশ্বের এখন হাতের মুঠোয়। দিল্লিতে বসে একটি বোতাম টিপে আপনি দেখে নিতে পারেন সুদুর আফ্রিকার কোনও শহরের ছবি। ভিডিও কলের সৌজন্যে বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে থাকা আত্মীয় বা বন্ধুদের সঙ্গে দুরত্বের সীমানাও মুখে যায় নিমেষেই। ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে মুহূর্তে পৌঁছে যাওয়া যায় কোটি কোটি মানুষের কাছে। আর এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কাশ্মীরে অশান্ত পাকানোর চেষ্টা করছে সন্ত্রাসবাদীরাও। তাই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইটা আর মাঠে-ময়দানে সীমাবন্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে ভার্চুয়াল জগতেও। যাঁরা ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়াকে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে উপত্যকা যুবকদের ভুল পথে পরিচালিত করতে চাইছে বা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে, তাঁদেরকে শায়েস্তা করতে করার প্রস্ততি নিচ্ছে সেনাবাহিনী। এঁদেরকে বলা হচ্ছে বেডরুম জেহাদি।
[গো-মাংস বিতর্কে সরগরম কেরলে তিনদিনের সফরে অমিত শাহ]
আগামী ২৯ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। সেনাবাহিনীর আশঙ্কা, তার আগে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটকে কাজে লাগিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করতে পারে জঙ্গিরা। জানা যাচ্ছে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে এই ধরনের জেহাদি গ্রুপগুলি যে শুধু জম্মু বা কাশ্মীরে সক্রিয়, এমনটা নয়। রাজধানী দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বটেই, এমনকী বিদেশ থেকেও বহু যুবক এই গোষ্ঠীগুলিতে শামিল হয়েছে।
[OMG! নিজের পরনের জিনস ছিঁড়ে খাচ্ছেন সলমন!]
প্রসঙ্গত, হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে অগ্নিগর্ভ কাশ্মীর। ২৬ মে উপত্যকায় ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল নেটওয়াকিং সাইট ও অ্যাপ্লিকেশনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। অভিযোগ, এইসব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সাধারণ মানুষকে সেনা ও পুলিশের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হচ্ছিল।
[শরীরে দু’টি হৃদযন্ত্র, তবুও বহাল তবিয়তে এই যুবক]
বস্তুত, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলি সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে, সম্প্রতি এমন চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ৬৪টি জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে ৪১টি জঙ্গি সংগঠনের ফেসবুক পেজ রয়েছে। এই পেজগুলির মাধ্যমে নিয়মিত সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজ করে যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি। যা আরও চিন্তা বাড়িয়েছে সেনাবাহিনীর।