সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে অসহিষ্ণুতা আছে। সাম্প্রতিক অতীতে তা ক্রমাগত বাড়েছে। তবু দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার মূল কাঠামো ধসে পড়েনি। কেননা দেশের বসবসাকারী হিন্দুরাই দেশকে প্রকৃতভাবে ধর্মনিরপেক্ষ করে তুলেছে। এমনটাই মত প্রকাশ করলেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি।
[ বাড়িতে শৌচালয় নেই, শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বউমার ]
ধর্ম নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ ওঠে প্রায়শই। নেতা-নেত্রীদের বিভাজনের রাজনীতি শিরোনামে আসে খবরের। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সেই বিভাজনের ফলশ্রুতি সবথেকে ভাল জানার কথা কুরেশিরই। আর তাই এ বিষয়ে তাঁর মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুরেশি জানান, শেষ পাঁচ থেকে দশ বছরে দেশে অসহিষ্ণুতা ক্রমশ বাড়ছে। এ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে দেশের মূল যে কাঠামো, সেই ধর্মনিরপেক্ষতা অটুটই আছে। আর এ কাজ করেছে হিন্দুরাই। কেননা হিন্দুরাই নিজেদেরকে ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে তুলে ধরে, দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রেখেছে। এমনটাই মত তাঁর। ভারতের মতো দেশে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অবস্থান নিয়েও মত দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, দেশে মুসলমানদের অবস্থান ঠিকই আছে। অনেক মুসলিম প্রধান দেশের থেকেও ভারতে ভালই আছেন তাঁরা। বিদ্বেষ বা হিংসা কিংবা বিভাজন নিয়ে যে আলোচনা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তা সাময়িক বলেই মত তাঁর। তিনি জানিয়েছেন, এ ধরনের আলোচনা আসে আবার চলেও যায়। দেশের মূল কাঠামো অটুটই থাকে।
[ কোরানেই লেখা মুসলিমদের গোমূত্র পান করা উচিত, রামদেবের মন্তব্যে বিতর্ক ]
অশিক্ষার জন্যই কি দেশে বিভাজনের রাজনীতি প্রশ্রয় পায়? শিক্ষা না পৌঁছানোর কারণেই কি ভোটারদের বিভাজনের তাস খেলে প্রভাবিত করা যায়? এ প্রশ্নের উত্তরে কুরেশি জানান, শিক্ষা সবার কাছে পৌঁছলে তার থেকে ভাল কিছু আর হয় না। কিন্তু তা বিভাজনের কারণ নয়। বরং যে সব ডিগ্রিধারী ভোট দেয় না, এবং তা নিয়ে বিন্দুমাত্রও লজ্জা বোধ করে না, তারাই প্রকৃত প্রস্তাবে অশিক্ষিত। তাঁর মতে, অশিক্ষা সত্ত্বেও ভোটদাতারা পরিণতমনস্কতারই পরিচয় দিয়ে এসেছেন বরাবর।
[ মন্দিরে গুলি চালিয়ে অস্ত্র পূজা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.