Advertisement
Advertisement

Breaking News

নিশানায় অমরনাথ যাত্রীরা, জইশের ছক ভেস্তে দিতে তৎপর নিরাপত্তারক্ষীরা

রবিবার অমরনাথের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন পুণ্যার্থীরা।

Jaish plots terror attack on Amarnath yatra, security beefed up
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 29, 2019 1:34 pm
  • Updated:June 29, 2019 1:34 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অমরনাথ যাত্রীদের উপর হামলার ছক কষছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। আগামিকাল রবিবার অমরনাথের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন পুণ্যার্থীরা। তার আগেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলির এহেন রিপোর্টে উদ্বেগে প্রশাসন। মজবুত করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

[আরও পড়ুন: ‘যোগ্য সম্মান পাননি দাদু’, সোনিয়া-রাহুলকে ক্ষমা চাইতে বললেন নরসিমা রাওয়ের নাতি]

Advertisement

সদ্য অমরনাথ যাত্রা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও কাশ্মীর পুলিশের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন গোয়েন্দারা। সেখানে বলা হয়েছে পুলওয়ামার ধাঁচেই পুণ্যার্থীদের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা করার ছক কষছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। তারপরই যাত্রাপথে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে নতুন করে পর্যালোচনা শুরু করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। আধা সামরিক বাহিনীকে সতর্ক করার পাশাপাশি বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তিগত নজরদারির উপরেও। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি এমকে সিনহা শুক্রবার বলেছেন, “অমরনাথ যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারিও চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে কনভয়ের প্রতিটি গাড়ির সঙ্গে যুক্ত থাকবে ‘রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ব্যবস্থা।”

Advertisement

অমরনাথ যাত্রার দু’টি রুট রয়েছে, একটি বালতাল, অপরটি পহেলগাঁও হয়ে যায়। দু’টি পথই যথেষ্ট বিপজ্জনক। জম্মু থেকে শুরু করে বালতাল রুট ধরে প্রায় ২৬৮ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক পেরিয়ে অমরনাথ পৌঁছাতে হবে পুণ্যার্থীদের। ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে বালতালে হামলা চালানো জঙ্গিদের কাছে অনেকটা সহজ। কারণ, নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন নাগাবল, কঙ্গন ও গান্ধেরবাল অত্যন্ত দুর্গম এলাকা। এই তিনটি পয়েন্টকে অনুপ্রবেশের করিডর হিসেবে ব্যবহার করে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এ ছাড়াও পহেলগাঁও রুটেও জঙ্গি হামলার সতর্কবার্তা রয়েছে। ফলে কোনও ঝুঁকি না নিয়েই দু’টি রুটেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দু’টি রুটকেই একাধিক জোন ও সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেকটির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন এলজন শীর্ষ পদের পুলিশ আধিকারিক। আধা সামরিক বাহিনী, সেনা ও পুলিশের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করেই নিরাপত্তার ‘ব্লু-প্রিন্ট’ তৈরি করেছে প্রশাসন। মনে করা হচ্ছে, কাশ্মীরে লাগাতার চলা সেনা অভিযান ও হাওয়ালার টাকায় কোপ পড়ায় পুণ্যার্থীদের ‘সফট টার্গেট’ হিসেবে বেছে নিয়েছে জঙ্গিরা।

[আরও পড়ুন: ভাঙা পড়বে কৃষ্ণার তীরে থাকা চন্দ্রবাবুর বাড়ি, খালি করতে নোটিস জগনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ