Advertisement
Advertisement

‘যোগ্য সম্মান পাননি দাদু’, সোনিয়া-রাহুলকে ক্ষমা চাইতে বললেন নরসিমা রাওয়ের নাতি

কংগ্রেস পরিবারতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী দল, অভিয়োগ সুভাষের।

PV Narasimha Rao's grandson demands apology from Sonia, Rahul
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 29, 2019 10:33 am
  • Updated:June 29, 2019 10:33 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারদিন আগেই লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাওয়ের প্রসঙ্গ টেনেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নেহরু-গান্ধী পরিবারকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, তাঁদের গুরুত্ব দিতে গিয়ে কংগ্রেস নরসিমা রাও, মনমোহন সিংদের মতো নেতাকে কোণঠাসা করে রেখেছিল। স্বীকার করেনি অটলবিহারী বাজপেয়ীর অবদান। সেই সুরেই শুক্রবার গান্ধী পরিবারের সমালোচনা করলেন নরসিমা রাওয়ের নাতি। তাঁর দাবি, দাদুকে অবহেলা করার জন্য সোনিয়া, রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে।

[আরও পড়ুন: ভাঙা পড়বে কৃষ্ণার তীরে থাকা চন্দ্রবাবুর বাড়ি, খালি করতে নোটিস জগনের]

Advertisement

বর্তমানে বিজেপির সদস্য নরসিমা রাওয়ের নাতি এন ভি সুভাষ। তিনি জানান, শুক্রবার নরসিমা রাওয়ের জন্মবার্ষিকী ছিল। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁর দাদুর প্রতি কোনও রকম শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেননি। “১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর দাদুকে কোণঠাসা করা হয়েছিল। যার নেপথ্যে বহু ঘটনা ও কারণ রয়েছে। যার সঙ্গে তাঁর সরকারের নীতির কোনও সম্পর্কই ছিল না। আসলে কংগ্রেসের নেতৃত্ব ভেবেছিল, নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ যদি সফল হয়, তাহলে তাঁদের উপর থেকে নজর সরে যাবে। তাঁদের গুরুত্ব থাকবে না। তাই আমার দাদুকে কোণঠাসা করা হয়,” সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সাক্ষাৎকারে দাবি করেন সুভাষ। তাঁর আরও দাবি, “সমস্ত ব্যর্থতার দায় দাদুর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হলেও সাফল্যের কোনও কৃতিত্ব তাঁকে দেওয়া হয়নি। সোনিয়া, রাহুল গান্ধীর উচিত ক্ষমা চেয়ে তাঁর প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করা।”

Advertisement

২০১৪-য় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুভাষ। বর্তমানে তিনি দলের তেলেঙ্গানা রাজ্য শাখার অন্যতম মুখপাত্র। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার নরসিমা রাওয়ের ৯৮তম জন্মবার্ষিকীতে তেলেঙ্গানার কোনও কংগ্রেস নেতা তাঁর দাদুকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেননি। অথচ বিজেপি, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি, তেলুগু দেশম পার্টির নেতৃত্ব প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানান। এ থেকেই কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র ও স্বৈরাচারী চরিত্র ফুটে উঠেছে বলে সুভাষ মন্তব্য করেন।

এদিন দেশের অর্থনীতিতে নরসিমা রাওয়ের অবদান অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর নাতি। সুভাষের মতে, “দেশ ও কংগ্রেসের জন্য তাঁর অবদান গোটা বিশ্ব স্বীকার করেছে। রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর ১৯৯১-এ দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনিই মনমোহন সিংকে অর্থমন্ত্রী করেছিলেন। তাঁদের হাত ধরেই দেশে আর্থিক সংস্কার হয়। দাদুর অবদানের পরিমাপ করা সম্ভব নয়।” এই প্রেক্ষিতেই লোকসভায় নরসিমা রাওয়ের অবদান স্বীকার করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুভাষ। তিনি বলেন, “১৯৯১-এ নরসিমা রাও যে অর্থনৈতিক সংস্কারের পথে হেঁটেছিলেন, পরবর্তী সমস্ত সরকার সেই পথই অনুসরণ করে এসেছে। তার সুফল আজ দেশ দেখতে পাচ্ছে।”

এদিন সকালে টুইটারে প্রয়াত নরসিমা রাওয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন, ‘জন্মবার্ষিকীতে পি ভি নরসিমা রাওজিকে স্মরণ করি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত পণ্ডিত, প্রবীণ প্রশাসক। আমাদের ইতিহাসের অত্যন্ত জটিল সন্ধিক্ষণে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দেশের অগ্রগতির জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করার জন্য সকলেই তঁাকে মনে রাখবে।’ নরসিমা রাও ছিলেন ভারতের নবম প্রধানমন্ত্রী। দেশের ‘লাইসেন্স রাজ’ শেষ করে আর্থিক সংস্কার আনার জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য বলেই মনে করেন অনেকে। আবার তাঁর আমলেই কুখ্যাত বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মতো ঘটনা ঘটেছিল। ২০০৪ সালে ৮৩ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন।

[আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল ৬০ ফুটের দেওয়াল, মৃত কমপক্ষে ১৭

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ