Advertisement
Advertisement

তদন্তের জের, বেবি পাউডারে কাঁচামাল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জনসন অ্যান্ড জনসনকে

সংস্থার বিরুদ্ধে পাউডারে অ্যাসবেস্টসের গুঁড়ো মেশানোর অভিযোগ উঠেছিল।

Johnson & Johunson ordered to stop using raw material
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:December 21, 2018 4:22 pm
  • Updated:December 21, 2018 4:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার বিরুদ্ধে পাউডারে অ্যাসবেস্টসের গুঁড়ো মেশানোর অভিযোগ উঠেছিল। তারপরই কড়া পদক্ষেপ সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের। ভারতের দুই ফ্যাক্টরিতে এই বেবি পাউডারের যে কাঁচামাল ব্যবহৃত হত, তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক অফিসার জানান, আমেরিকায় ওই সংস্থার প্রধান দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দেশের দুটি ফ্যাক্টরি প্ল্যান্টে যে বিশাল কাঁচামাল মজুত আছে, সেটাও ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

[মানুষের চেয়ে গরুর মৃত্যুই বড় ইস্যু, বুলন্দশহর কাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতার]

গত শুক্রবার এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কয়েকদশক ধরে জনসন ও জনসন বেবি পাউডারে দীর্ঘদিন ধরে অ্যাসবেস্টসের গুঁড়ো মেশানো হচ্ছে। তারপরই সেন্ট্রাল ড্রাগস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশান ও রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের অফিসাররা ফ্যাক্টরিতে তল্লাশি চালায়। জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা। বুধবার সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাঁচামালের নমুনা পরীক্ষা করতে ফ্যাক্টরিতে আগেও কিছু ড্রাগ বিশেষজ্ঞ এসেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের কাঁচামালে ট্যালকম পাউডার পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্যের বিচারে সুরক্ষিত পাউডার হিসেবে ব্যবহৃত হয় ট্যালকম। দীর্ঘ কয়েক দশকের গবেষণার পরে এই ট্যালকম থেকে প্রস্তুত হয় বেবি পাউডার। ব্যক্তিগত গবেষণা ও বিশ্বের সব বিজ্ঞানীদের গবেষণাও এই কাঁচামালকে সার্টিফিকেট দিয়েছে। তবে সেন্ট্রাল ড্রাগস কন্ট্রোলের তদন্তকারী অফিসাররা কী বলেছেন, তা নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি সংস্থা। কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসাররা সংস্থাকে বলেন, “যতদিন তদন্ত চলছে এই সংস্থা কোনও কাঁচামাল ব্যবহার করতে পারবে না। পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে সময় লাগবে। অ্যাসবেস্টস পরীক্ষার পদ্ধতি সাধারণভাবে হয় না। অনেক ধাপে পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষার পদ্ধতিও বদলাতে হবে।” অর্থাৎ ততদিন পর্যন্ত ভারতে কোনও নতুন প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারবে না জনসন অ্যান্ড জনসন।

Advertisement

[দেশের যে কোনও কম্পিউটারে নজর রাখবে শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলি, নির্দেশিকা কেন্দ্রের]

১৯৪৮ সাল থেকে ভারতে এই পাউডারের ব্যবসা করছে জনসন অ্যান্ড জনসন। দেশের মোট জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ শিশু। তাদের অধিকাংশ প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই পাউডার ব্যবহার করে গিয়েছে। ছোট ফার্মেসি থেকে, বড় দোকান ও ইন্টারনেটে চুটিয়ে ব্যবসা করে এই আমেরিকান সংস্থা। কিন্তু এই খবরের পর জনজন অ্যান্ড জনসনের ব্যবসায় যে প্রভাব পড়েছে, তা প্রকাশ্যেই সামনে এসেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement