Advertisement
Advertisement
Karnataka Elections

সাত মাসে ৪ রাজ্যে হার, চাপ নাড্ডার উপর! খাড়গে সভাপতি হতেই সাফল্যের সরণিতে কংগ্রেস

খাড়গের কাছে ১০ গোল খাচ্ছেন নাড্ডা, বলাবলি বিজেপির অন্দরেই।

JP Nadda's position as BJP chief questioned after Karnataka debacle | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 13, 2023 5:03 pm
  • Updated:May 13, 2023 8:58 pm

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: হিমাচলের পর দক্ষিণের একমাত্র দুর্গ কর্ণাটক (Karnataka)। ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। ভোট বিপর্যয়ের আগুনে জ্বলছে রাজধানীর দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ। এই নিয়ে গত সাত মাসে ৪ রাজ্যের নির্বাচনে হারের মুখ দেখতে হল বিজেপিকে (BJP)। গত আড়াই বছরে ৬টি বড় রাজ্যে অত্যন্ত খারাপ ফল করেছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ছে দলের সভাপতি জেপি নাড্ডার উপর। অন্যদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) সভাপতি হতেই কংগ্রেসের অন্দরে যেন পরিবর্তনের হাওয়া।

গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে যে নির্বাচনগুলি হয়েছে তার মধ্যে মেঘালয়, দিল্লি (পুরনিগম), হিমাচল এবং কর্ণাটকে বড়সড় হারের মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপিকে। বড় জয় বলতে শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাট। নাগাল্যান্ড এবং ত্রিপুরাতেও (Tripura) বিজেপি জিতেছে। কিন্তু এই ছোট্ট ছোট্ট রাজ্যগুলিকে জাতীয় রাজনীতিতে কোনও দিনই সেভাবে ধর্তব্যের মধ্যে আনা হয় না। এখানেই শেষ নয়, ২০২১ সালের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, তামিলনাড়ু, কেরালা, হিমাচল প্রদেশ এবং কর্ণাটকের মতো রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে হারের মুখ দেখতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বাংলায় সন্ত্রাসের প্রথম ভুক্তভোগী’, দিল্লিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ নাড্ডার]

অন্যদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গে সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর কংগ্রেসের (Congress) অন্দরেও যেন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। ২০১৪ সালের পর হারাটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল কংগ্রেসের। শেষ দু’মাসে সেই ছবিটা খানিকটা হলেও বদলাচ্ছে। গত সাতমাসে বিজেপির সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে দুটি রাজ্য ছিনিয়ে নিয়েছে হাত শিবির। চলতি বছর আরও গোটা চার-পাঁচেক রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মিজোরাম। এই পাঁচ রাজ্যেও যে বিজেপি খুব ভাল পরিস্থিতিতে আছে, তেমন নয়। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির অন্দরেই দলের সভাপতিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বরং কংগ্রেস অনেকটাই আশাবাদী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে কংগ্রেস এগোতেই ‘অপারেশন লোটাসে’র জুজু! এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের সরানো হচ্ছে বেঙ্গালুরু]

স্বাভাবিকভাবেই দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ এবং আকবর রিপোর্টের ছবিটা এখন সম্পূর্ণ বিপরীত। বিজেপি অফিসে যেখানে শ্মশানের নীরবতা, সেখানে কংগ্রেস দপ্তর উৎসবের নেজাজ। বিজেপির অন্দরেই সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) ও সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষের (BL Santosh) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন, দুর্বল সংগঠন নিয়েও পারফরম্যান্সের নিরিখে নাড্ডাকে ১০ গোল দিচ্ছেন খাড়গে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ