Advertisement
Advertisement

Breaking News

Karnataka Hijab Ban

হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে কেন? পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতেই দেওয়া হল না দুই দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে

এই দুই পড়ুয়াই হিজাবপন্থী আন্দোলনের প্রথম সারির মুখ।

Karnataka Hijab Ban: 2 Students not allowed to give their examination | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 22, 2022 1:05 pm
  • Updated:April 22, 2022 1:24 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব বিতর্কে (Hijab Ban) নয়া মাত্রা। হিজাব পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ায় কর্ণাটক বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাই দিতে পারলেন না দুই হিজাবপন্থী পড়ুয়া। পরীক্ষার হলেই ঢুকতে দেওয়া হল না তাঁদের।

শুক্রবার কর্ণাটকে বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার আগেই সেরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বি সি নাগেশ (BC Nagesh) সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও পরীক্ষার্থী হিজাব পরে এলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সব পড়ুয়াকে পোশাকবিধি মেনেই পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হবে। বহু মুসলিম পড়ুয়া হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন করলেও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। তা সত্ত্বেও আলিয়া আসাদি (Alia Assadi) এবং রেশম (Resham) নামের ওই দুই ছাত্রী হিজাব পরেই পরীক্ষা দিতে যান। আসলে এরা দু’ জনই হিজাবপন্থী আন্দোলনের প্রথম সারির মুখ। কিন্তু এই দুই পড়ুয়াকে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরীক্ষাকেন্দ্রের পর্যবেক্ষকরা সাফ জানিয়ে দেন, পোশাকবিধি না মানলে পরীক্ষা দিতে দেওয়া যাবে না। প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট ওই দুই পরীক্ষার্থী কর্তৃপক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাতেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত নীরবে পরীক্ষাকেন্দ্র ত্যাগ করে ফিরে যান তাঁরা। অর্থাৎ স্রেফ হিজাব পরে যাওয়ার জেরে শিক্ষাজীবনে এক বছর পিছিয়ে যেতে হল দুই আন্দোলনকারীকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শিখ গুরু তেগ বাহাদুরের জন্মবার্ষিকীতে প্রথা ভেঙে লালকেল্লায় ভাষণ মোদির, বললেন বিশ্বের কল্যাণের কথা]

বলে রাখা ভাল, কর্ণাটক (Karnataka) সরকার গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তার পর থেকেই সে রাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে উদুপি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছিল। লাগাতার প্রতিবাদের জেরে বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন কয়েকজন মুসলিম পড়ুয়া। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা যাবে না, এই মর্মে একাধিক মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম আলিয়া আসাদি এবং রেশম। এবার তাঁরা নিজেরাই পরীক্ষা দিতে পারলেন না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দেশের কোভিড গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ছাড়পত্র পেল শিশুদের ভ্যাকসিন]

আসলে আলিয়া-রেশমদের করা মামলাই তাঁদের পরীক্ষা দেওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াল। কারণ ওই মামলার ভিত্তিতেই কর্ণাটক হাই কোর্ট মার্চের ১৫ তারিখ ঐতিহাসিক রায় দেয়। আদালত স্পষ্ট জানায়, ইসলাম (Islam) ধর্মাচরণে হিজাব অপরিহার্য নয়। শিক্ষাঙ্গনে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে যে সমস্ত আবেদন জমা পড়েছিল, তাও খারিজ হয়ে যায়। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হলেও কোনও লাভ হয়নি। শীর্ষ আদালতও কর্ণাটক সরকারের ফরমানে স্থগিতাদেশ দেয়নি। ফলে আইন অনুযায়ীই হিজাব পরে ঢুকতে পারলেন না দুই ছাত্রী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ