Advertisement
Advertisement

Breaking News

Lingayat Monk Died

মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, মধুচক্রে ফেঁসেই আত্মহত্যা কর্ণাটকের লিঙ্গায়েত ধর্মগুরুর, উঠছে প্রশ্ন 

সুইসাইড নোটের সূত্রে আটক করা হয়েছে এক মহিলা-সহ ৩ জনকে।

Karnataka Lingayat Seer's Death Over
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:October 29, 2022 8:57 pm
  • Updated:October 29, 2022 8:57 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের (Karnataka) মঠে এক লিঙ্গায়েত ধর্মগুরুর (Lingayat Monk) দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ওই ধর্মগুরুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে এবার এক মহিলা-সহ ৩ জনকে আটক করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা মধুচক্রে ফাঁসানোর চেষ্টা করে ধর্মগুরুকে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ফাঁস করা হবে বলে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল ধর্মগুরুকে। যার জেরে আত্মহত্যা করেন তিনি।

রামনগর জেলার কাঞ্চুগাল বন্দেমাঠ এলাকায় অবস্থিত মঠটি। নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় বাসবলিঙ্গ স্বামীজী নামে ওই ধর্মগুরুর দেহ। পুলিশ জানিয়েছিল, আত্মহত্যা করেছেন ধর্মগুরু। বাসবলিঙ্গ স্বামীজীর ঘর থেকে দু’পাতার সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছিল। প্রয়াত স্বামীজী গত ২৫ বছর ধরে রামনগরের ওই মঠের প্রধান সন্ন্যাসীর পদে ছিলেন। উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে প্রয়াত ধর্মগুরু অভিযোগ করেন, মঠের বেশ কয়েকজন সতীর্থ তাঁকে পদ থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র শুরু করছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তেলেঙ্গানায় ‘অপারেশন লোটাস’: অভিযুক্ত ৩ ‘বিজেপি এজেন্ট’কে আত্মসমর্পণের নির্দেশ হাই কোর্টের]

এদিন ধর্মগুরুর সুইসাইড নোটের সূত্রে ওই মহিলা-সহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে যখন বাসবলিঙ্গ ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন, সেই সময় কেউ মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় গোটা দৃশ্য ধরে রাখেন। পুলিশের ধারণা, ওই নিএই অবস্থায় আত্মহত্যা করেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে গরু পাচারকারীর ১৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! কিংপিনের সন্ধানে পুলিশ]

প্রসঙ্গত, গত প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ১৫ ও ১৬ বছরের দুই কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ছিলেন লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু শিবমূর্তি। তাঁকে প্রাথমিক ভাবে আটক করার পর ছেড়ে দেওয়া হলে বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল মাইসুরু শহর। শেষ পর্যন্ত গত সেপ্টেম্বরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। মাইসুরু পুলিশের দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যাচ্ছে, ওই দুই নির্যাতিতা কিশোরী মুরুঘা মঠ পরিচালিত স্কুলে পড়ত। ১৫ ও ১৬ বছরের ওই দুই কিশোরীকে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ধর্ষণ করেন শিবমূর্তি। পরে বেসরকারি এক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্ত কথা খুলে বলে নির্যাতিতারা। এরপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ