সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩১ মার্চ পর্যন্ত মদের দোকান খোলা থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণা করার পর চাপের মুখে পড়ে শেষে রাজ্যে সমস্ত মদের দোকান বন্ধের নির্দেশ দিলেন তিনি। রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেও মদের দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্তে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন পিনারাই বিজয়ন।
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে মহারাষ্ট্রের পরই স্থান পেয়েছে কেরল। তবে ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলে কেরলেই। করোনা সংক্রমণের প্রভাব কমাতে কেরল সরকার অনেক আগেই পেক্ষাগৃহ, সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেয়। তবে কেরলে রাজ্য সরকারের অর্থনীতি অনেকটাই মদ বিক্রির ওপরে নির্ভর করে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে কেরলে রেকর্ড পরিমাণে মদ বিক্রি হয়। সারা বছরে ১৪,৫০৮ কোটি টাকার মদ বিক্রি হওয়ায় রাজ্য সরকারের রাজস্ব বাবদ আয় হয় ২,৫২১ কোটি টাকা। রাজ্যে ৫৯৮টি পানশালা ছাড়াও রয়েছে ৩৫৭টি বিয়ার পার্লার, ৩০১টি মদ বিক্রির দোকান। এর মধ্যে রাজ্য সরকারের অধীনে কেরল স্টেট বেভারেজেস কর্পোরেশনের হাতেই রয়েছে ২৬৫টি দোকান। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কেরল সরকার মদের দোকান বন্ধ না করায় সমালোচনার শিকার হন। এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “রাজ্যে মদের দোকান খোলা রাখা হবে কারণ, অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, সেটা না হলে অনেক সামাজিক সমস্যা তৈরি হবে।” সেই সময়ে তিনি এই প্রসঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের একটি টুইট বার্তারও উল্লেখ করেন।
[আরও পড়ুন: ৩৬ ঘণ্টায় হাঁটলেন ৮০ কিমি! লকডাউনে রাস্তায় বেরিয়ে গ্রেপ্তার যুবক]
কিন্তু এর পরেই রাজ্যে চরম বিরোধিতা করতে শুরু করে কংগ্রেস, বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রণ বলেন, রাজ্যে সরকারের এই মদের দোকান খুলে রাখার সিদ্ধান্ত রাজ্যকে বড় বিপদের দিকে ঠেলে দেবে। এই সময় রাজ্যের অর্থনীতিকে ঠিক রাখা নয় রাজ্যবাসীর প্রাণ রক্ষা করা। সামাজিক দূরত্ব বাজয় না রেখে বিভিন্ন জায়গায় মদের দোকানে ভিড় ভাইরাস সংক্রমণ বাড়িয়ে দেবে। যদিও সেই সময়েও কেরলে মানুষ সতর্কতা অবলম্বন করে মদ কিনছেন এমন ছবিও দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতাদের লাইন। তবে সব নিয়ম মানলেও কেরলে আপাতত বন্ধ হয়ে গেল সব মদের দোকান।