সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় দেশের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দক্ষিণের রাজ্য কেরল (Kerala)। কিন্তু আনলকের দ্বিতীয় পর্বেও কোনওরকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় ঈশ্বরের আপন দেশ। রবিবার তাই কেরল সরকার জানিয়ে দিয়েছে, আগামী এক বছর মেনে চলতে হবে কোভিড প্রোটোকল বা করোনার (COVID-19) স্বাস্থ্যবিধি। জমায়েতে তো কোনও ছাড় নেই-ই, তার সঙ্গে আগামী এক বছর প্রকাশ্যে ফেস মাস্ক ও শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক করেছে পিনারাই বিজয়ন (Pinarai Vijayan) সরকার। বাড়ির বেরলে মাস্ক পরতেই হবে সবাইকে। সেইসঙ্গে পরস্পরের থেকে অন্তত ছ ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে প্রত্যেককে।
করোনাযুদ্ধে গোটা বিশ্বে এখন কেরল মডেলের ভূয়সী প্রশংসা। এমনকি রাষ্ট্রসংঘেও করোনা মোকাবিলায় নিয়ে সম্মেলনে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রিত হন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা। রাজ্যবাসীর স্বার্থে সংক্রমণ রুখতে কঠোর পদক্ষেপ করেছে কেরল সরকার। বামশাসিত রাজ্য করোনা টেস্ট থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিষেবা সব দিক থেকেই দেশের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। সেই লক্ষ্যেই আগামী বছর পর্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে কেরল সরকার। আগামী বছর পর্যন্ত রাজ্যে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বিয়ে বা শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও রয়েছে বিধিনিষেধ। বিয়েতে ৫০ জন এবং শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে ২০ জনের বেশি আমন্ত্রণ করা যাবে না।
[আরও পড়ুন: অসাধ্যসাধন DRDO’র, মাত্র ১২ দিনে দিল্লিতে তৈরি হল বিশ্বের বৃহত্তম কোভিড হাসপাতাল]
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া সামাজিক জমায়েত, ধরনা, বিক্ষোভ অবস্থান, মিটিং মিছিল করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার। বড় দোকান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ২০ জনের বেশি ঢোকানো যাবে না। সেইসঙ্গে ৬ ফুট দুরত্ব বজায় রাখতে হবে গ্রাহকদের। প্রকাশ্যে থুতু ফেলাও নিষিদ্ধ। আন্তঃরাজ্য চলাচলের জন্য রাজ্যবাসীর কোনও পাস লাগবে না বলে জানিয়েছে এদিন সরকার। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে প্রথম করোনা পজিটিভ ব্যক্তির খোঁজ মিলেছিল এই রাজ্যেই। কিন্তু কঠোর অনুশাসনের জেরে এই মূহূর্তে কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা ৫,২০৪। সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের সদিচ্ছা অনেকটাই কাজ করেছে বলে মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।