Advertisement
Advertisement

সবরীমালার পর কেরলের নিষিদ্ধ পাহাড়ের চূড়ায় ওঠাই লক্ষ্য মহিলাদের

১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে অভিযান৷

 Kerala women trek to Agasthyakoodam peak
Published by: Tanujit Das
  • Posted:January 6, 2019 6:08 pm
  • Updated:January 6, 2019 6:13 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সবরীমালা মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করেছেন দুই মহিলা৷ আয়াপ্পা স্বামীর কাছে পৌঁছে, তাঁরা ভেঙেছেন অচলায়তনের দেওয়াল৷ সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস৷ সূত্রের খবর, আরও একটা ইতিহাস তৈরির পরিকল্পনা করছেন কেরলের মহিলারা৷ এবার তাঁদের লক্ষ্য, তিরুবনন্তপুরমের নেইয়ার অভয়ারণ্যের মধ্যে অবস্থিত অগস্ত্যকুদম পাহাড়ের চূড়া৷ কারণ, সবরীমালা মন্দিরের মতোই এতদিন সেখানেও কোনও মহিলার যাওয়া নিষেধ ছিল৷

[ট্রেড ইউনিয়নের ধর্মঘটে সাড়া, ৮-৯ জানুয়ারি ব্যাংকের ঝাঁপ বন্ধ ]

Advertisement

তবে, গত ৩০ নভেম্বর কেরল হাই কোর্টের রায়ে সেই রীতিতে ইতি পড়েছে৷ এই কুসংস্কারকে বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি অনু শিবরামণি৷ এরপরই অগস্ত্যকুদমের চূড়ায় ওঠার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন একদল মহিলা৷ এবছর আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে অগস্ত্যকুদম ট্রেক৷ সূত্রের খবর, সেই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন বেশ কয়েকজন মহিলা৷ জঙ্গলে ঘেরা এলাকা হওয়ায় অগস্ত্যকুদমের চূড়ায় ওঠার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে৷ বছরে মাত্র ৪১০০ জনকেই ওই পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে দেওয়া হয় সরকারের তরফ থেকে৷ একটানা ৪১ দিন ট্রেক করে ১৮৬৮ মিটার উচ্চ অগস্ত্যকুদমের চূড়ায় উঠতে হয়৷ শনিবার ট্রেকিংয়ের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছে কেরল সরকার৷ মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যেই নথিভুক্ত হয়ে যায় ৪১০০ জনের নাম৷ তবে কত জন মহিলা আবেদন করেছেন, সেই তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি কেরল সরকার৷

Advertisement

[জানেন কেন প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও সবরীমালায় পা রাখলেন বিন্দু ও কনক?]

নেইয়ার অভয়ারণ্যের ওয়ার্ডেন শাজি কুমার বলেন, ‘‘মহিলাদের জন্য কোনও বিশেষ সুবিধা বা ব্যবস্থা থাকবে না। অন্যান্যদের মতোই মহিলাদেরও ট্রেক করতে উঠতে হবে এবং কঠিন পরিস্থিতি পেরিয়ে তাঁদেরও এগিয়ে যেতে হবে।’’ কেরল প্রশাসন সূত্রে খবর, ট্রেকিংয়ে যাওয়ার আগে মানসিক ও শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে আবেদনকারীদের৷ জানা গিয়েছে, অগস্ত্যকুদম পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে অগস্ত্য মুনির মূর্তি। নেই কোনও মন্দির। কেরলের কনি সম্প্রদায়ের মানুষ অগস্ত্য মুনিকে তাঁদের আরাধ্য দেবতা বলে পুজো করেন। অগস্ত্যকুদম ক্ষেত্র কানিক্কর ট্রাস্টের সভাপতি মোহন ত্রিবেদী বলেন, ‘‘আমরা কনি সম্প্রদায়ের মানুষরা অগস্ত্য মুনিকে আরাধ্য দেবতা হিসাবে পুজো করি। দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য মেনেই মহিলারা সেখানে যাওয়ায় বাধা রয়েছে। কিন্তু হাই কোর্টের নির্দেশ আমরা মেনে নিয়েছি।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ