Advertisement
Advertisement

Breaking News

দুবাই থেকে ধৃত কেরল সোনা পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত

ধৃতকে জেরা করে অনেক তথ্য সামনে আসবে বলে আশা তদন্তকারীদের।

Key accused in Kerala gold smuggling case brought back from Dubai, arrested: NIA
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:October 26, 2020 8:29 pm
  • Updated:October 26, 2020 8:29 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে দুবাই থেকে গ্রেপ্তার হল কেরল সোনা পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রবিনস কে হামিদ। সোমবার বিবৃতি জারি করে তার গ্রেপ্তারির খবর জানানো হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) -এর তরফে জানানো হয়েছে, সোনা পাচার কাণ্ডের তদন্ত নেমে জানা যায় যে রবিনস কে হামিদ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE)-তে বসে সোনা পাচার চক্রটি চালায়। কেরল সোনা পাচার কাণ্ডে ধৃত রামিস কে জি, জালাল এ এম এবং এই মামলার অন্য অভিযুক্তদের টাকা জোগাড় করতে সাহায্য করার পাশাপাশি দুবাইতে সোনা কিনে দিত। আর সেই সোনাগুলি কূটনৈতিক সুরক্ষাকবচের মাধ্যমে ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করত। এই কারণে এর্নাকুলামে অবস্থিত এএনআইয়ের বিশেষ আদালতের তরফে তার নামে জামিনঅযোগ্য পরোয়ানাও জারি হয়।

[আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মেহবুবা মুফতির, দল ছাড়লেন তিন নেতা ]

এনআইএর তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ৪২ বছরের ধৃত হামিদ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জামের মধ্যে সোনা লুকিয়ে সেগুলি ডিপ্লোম্যাটিক ব্যাগেজের মাধ্যমে কেরলের তিরুবন্তপুরমে পাঠাত। দুবাইতে ব্যবসার নামে সোনা পাচার চক্র চালাত। গত জুলাই মাসে তিরুবন্তপুরম বিমানবন্দরে যে ৩০ কেজি সোনা ধরে পড়ে। যে ব্যাগেজের মধ্যে করে ওই সোনা পাঠানো হচ্ছিল তাতে তিরুবন্তপুরমে অবস্থিত সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দূতাবাসের ঠিকানা ছিল।

সোনা পাচার নিয়ে মূল বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত ৪ জুলাই। ওইদিন সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে বেআইনিভাবে ৩০ কেজি সোনা কেরলের তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয়। রাজ্যের আবগারি দপ্তর ওই সোনা বাজেয়াপ্ত করে। অভিযোগ ওঠে, কোনও কূটনৈতিক চ্যানেলকে কাজে লাগিয়ে আমিরশাহী থেকে কোটি কোটি টাকা মুল্যের ওই সোনা কেরলে এনেছে পাচারকারীরা। আর এর সঙ্গে স্বপ্না সুরেশ (Swapna Suresh) নামের এক মহিলা এবং সরিথ কুমার নামের এক ব্যক্তি যুক্ত। এরা দুজনেই আগে কেরলে অবস্থিত সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (UAE) কনস্যুলেটে কাজ করতেন।

বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের তৎকালীন প্রধান সচিব এম শিবশংকরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল পাচারকারীদের। সরকারি মদতেই এই চক্র চলছে কেরলে। যা রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছে বিজয়ন সরকারকে।

[আরও পড়ুন: অপহরণকারীকে ধরতে টানা লম্বা দূরত্বে ছুটল ট্রেন! রেল পুলিশের তৎপরতায় বাঁচল শিশু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ