Advertisement
Advertisement

Breaking News

কর্ণাটকে কুমারস্বামীর সঙ্গে জুড়ছে দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি, জানিয়ে দিল কংগ্রেস

সরকার গড়ার আগেই কি চিড় ধরতে শুরু করল জোটে?

Kumaraswamy May Have Two Deputies, Will Take Oath Alone,
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 21, 2018 11:38 am
  • Updated:May 21, 2018 11:38 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫৫ ঘণ্টার মধ্যে কর্ণাটকে বিজেপি সরকারকে মাটি ধরানো সম্ভব হয়েছে। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে কংগ্রেস-জিডি(এস) জোটের মধ্যে ক্ষমতার বন্টন নিয়ে দড়ি টানাটানি। সোমবার যা আরও প্রকট হল। রাজ্য কংগ্রেস প্রধান পরমেশ্বর জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর তখতে কুমারস্বামী বসলেও, তাঁর সঙ্গে থাকবেন দুজন উপ-মুখ্যমন্ত্রী।

বিজেপি বিদায় নেওয়ার পর দ্বন্দ্বের তত্ত্ব একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন হবু মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রিত্বের কোনও ভাগ হবে না। কর্ণাটকের হবু মখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী মুখে যতই বলুন, সমস্ত সদস্যরা তাঁকেই সরকার গড়ার সবরকম সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন, কিন্তু অন্দরে অন্দরে নয়া অঙ্ক কষা শুরু হয়ে গিয়েছে। পরমেশ্বর জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রীকেও। সোমবার এ বিষয়ে আলোচনা করে নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বৈঠকে হাজির থাকবেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীও। এদিকে কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার জানিয়ে দিলেন, বুধবার একাই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন কুমারস্বামী। সেদিনই হবে আস্থা ভোট। তারপর মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যরা শপথগ্রহণ করবেন।

[মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির ভাগ হবে না, কংগ্রেসকে সাফ বার্তা কুমারস্বামীর]

যা খবর তাতে কংগ্রেসের তরফে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেতে পারেন পরমেশ্বর। তবে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে জেডি(এস)-এর তরফেও একজনকে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদে রাখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, কর্ণাটকে কুমারস্বামীর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে চলেছেন ৩৩ জন। তার মধ্যে ২০ জনই কংগ্রেস বিধায়ক, মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন ১৩ জন জনতা দল বিধায়ক। দিল্লিতে রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন কুমারস্বামী। সেখানেই চূড়ান্ত হবে রফা।

ইস্তফা দেওয়ার সময় ইয়েদুরাপ্পার বক্তব্যে সাফ ইঙ্গিত ছিল কংগ্রেস-জেডি(এস) সরকার বেশি দিন টিকবে না। রাজনৈতিক মহলেরও অনেকের ধারণা ছিল জনতা দল এবং কংগ্রেসের এই জোট স্বাভাবিক জোট নয়, ফলে যে কোনও সময় তাতে চিড় ধরতে পারে। সরকার গড়ার আগেই যেন সেই ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হল। কর্ণাটকে জনতা দলের দ্বিগুণেরও বেশি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। তবু বিজেপিকে রুখতে জেডিএসকে নিঃস্বার্থ সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। তবে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের কথায় সাফ হয়ে গিয়েছে, জাতীয় দল হওয়া সত্ত্বেও ছোট আঞ্চলিক দলকে সমর্থন করার পিছনে একটা দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক থেকেই যাচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ