সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার জন্য ফেসবুকে পাকিস্তানের অভিনন্দন জানিয়ে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। আর এবার উত্তরাখণ্ডের রুরকির বাসিন্দা ওই যুবকের হয়ে আদালতে সওয়াল না করার সিদ্ধান্ত নিলেন আইনজীবীরা। ঘটনার জেরে এখন রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছে ধৃতের পরিবার।
[রথের রশির টানে পুরীতে অসংখ্য ভক্ত, জগন্নাথের বিগ্রহ স্পর্শে নিষেধাজ্ঞা]
গত ১৮ জুন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতকে কার্যত দুরমুশ করে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, ম্যাচের পর নিজের ফেসবুকে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি ম্যাসেজ পোস্ট করেন সাদাব হাসান নামে বছর তেইশের ওই যুবক। বেশ কিছু আপত্তিকর মন্তব্যও পোস্ট করা হয়। সাদাবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মোহিত বর্মা নামে এক ব্যক্তি। তিনি রুরকির স্থানীয় একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য। এরপরই সাদাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয়। শনিবার আদালতে পেশ করা হলে, সাদাবকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক। স্থানীয় আইনজীবীদের সংগঠনের সভাপতি সন্ততর কুমার বলেন, সাদাব হাসান যে কাজ করেছে, তা দেশবিরোধী। তাই শহরের সব আইনজীবী সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যে সাদাবের হয়ে আদালতে কেউ সওয়াল করবেন না।
[জওয়ানদের মুণ্ডচ্ছেদ করতে বিশেষ ছুরি নিয়ে আসে পাক সেনা!]
আইনজীবীদের বয়কটের মুখে পড়ে এখন রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছে সাদাব হাসানের পরিবার। বস্তুত, হামলার আশঙ্কায় এখনই তার জামিনের জন্যও আবেদন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। সাদাবের কাকা মেহবুব হাসান বলেন,‘ যদি কোনও আইনজীবী সাদাবের হয়ে সওয়াল করতে রাজি না হন, সেক্ষেত্রে আমরা আদালতের কাছেই আইনজীবীর ব্যবস্থা করে দেওয়ার আরজি জানাব। জেল থেকে ছাড় পেলে সাদাবের ওপর হামলা হতে পারে। তাই জামিনের জন্য আমরা তাড়াহুড়ো করতে চাই না। আশা করি, ইদের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হবে, তখনই আমরা সাদাবের জামিনের জন্য আবেদন করব।’
[আপনার কাছেও কি আধার নম্বর চেয়ে ফোন, মেসেজ এসেছে? সতর্ক হোন এখনই]
তবে আইনজীবীদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় থানার ইন্সপেক্টর নবীনচন্দ্র সেমওয়াল বলেছেন, অভিযুক্ত সাদাব হাসান স্নাতক। তার একটি দোকান রয়েছে। সুতরাং জেনে বুঝেই এই কাজ করেছে সে। আইনজীবীদের সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়।