সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপদের মেঘ এখনও কাটেনি। যে কোনও মুহূর্তে ফিরে আসতে পারে ওরা। আবার হামলা চালাতে পারে। তাও আবার খারিফ শস্য চাষের সময়ই। দ্বিতীয় দফায় পঙ্গপালের ঝাঁক ভারতে হামলা চালাতে পারে বলে আগাম সতর্ক করল রাষ্ট্রপুঞ্জের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (FAO)। ফলে বর্ষার মাঝেই জুলাই ক্ষতি হতে পারে সুজলা-সুফলা সাতটি রাজ্যের। এই তালিকায় বাংলা থাকবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
মে মাসেই দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তান থেকে রাজস্থানে ঢুকেছিল পঙ্গপালের দল। তারপর অগ্রসর হয়েছিল উত্তর দিকে। এদের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে। ক্ষতি হয়েছে বাংলারও। পঙ্গপালের উৎপাতে ১৬টি রাজ্যে সতর্কতা জারি করে কেন্দ্র সরকার। বর্ষা এসে যাওয়ায় প্রজনন অর্থাৎ ডিম পারার জন্য পূর্ব এবং পশ্চিম প্রান্তে চলে গিয়েছে এই পঙ্গপালের দল। তবে ফের ফিরতে পারে এই পঙ্গপালের ঝাঁক।
[আরও পড়ুন : বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নির্বাচিত হতে চলেছে ভারত]
এফএও জানিয়েছে, এবার পঙ্গপালের দল ভারতে আসতে পারে ইরানের দক্ষিণ ভাগ এবং আফ্রিকার উপদ্বীপ সংলগ্ন এলাকা থেকে। প্রজননের ফলে পূর্ব আফ্রিকায় একঝাঁক পঙ্গপালের জন্ম হচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম কেনিয়া, সোমালিয়া এবং ইথিওপিয়া থেকে এই পঙ্গপালের দল উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। মূলত আফ্রিকার এই তিনটি জায়গা থেকে উত্তর ভারত মহাসাগর বরাবর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এসে পৌঁছবে। সেই সময় দেশের রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়াণা, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব ও গুজরাটে তাণ্ডব চালাতে পারে।
[আরও পড়ুন : কংগ্রেস ছেড়ে আপে যোগ দিচ্ছেন সিধু? জল্পনার মধ্যেই মুখ খুললেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী]
FAO’র পূর্বাভাস নতুন করে শঙ্কা জাগাচ্ছে। ইতিমধ্যে করোনা, লকডাউন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে চাষের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। উপরন্ত একপ্রস্থ হামলা চালিয়েছেন পঙ্গপালের ঝাঁক। সেই ক্ষতি সারাতে সকলেই খারিফ শস্য চাষের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু সেই সময়ও যদি পঙ্গপালের দল হামলা চালায়, তাহলে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারে দেশ। এমনই আশঙ্কা করছেন চাষীরা।