সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে বন্ধ মন্দিরও। ফলে আয়ের ঝাঁপিও বন্ধ। আর তাই মন্দিরের কর্মচারিদের বেতন দিতে নাভিশ্বাস উঠেছে বিশ্বের ধনীতম মন্দির কর্তৃপক্ষের। লকডাউন চলাকালীন তিরুমালার তিরুপতি দেবস্থানাম মন্দিরে ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ফলে বেতন দেওয়ার মতো নগদ মন্দির ট্রাস্টের হাতে নেই বলে খবর।
মন্দির কর্তৃপক্ষের কথায়, লকডাউনের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁরা বেতন-সহ বিভিন্ন খাতে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। ফলে হাতে নগদে টান পড়েছে। তাই বাকি সময় বেতন দেওয়ার টাকা কোথা থেকে আসবে তাই ভেবে কূল কিনারা করতে পারছেন তাঁরা। যদিও ব্যাংকে আট টন সোনা জমা রয়েছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১৪ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সেই সম্পদে হাত দিতে নারাজ মন্দির পরিচালন বোর্ড।
[আরও পড়ুন:মদের আসরে চাট নিয়ে গন্ডগোল, বন্ধুকে খুন করল যুবক]
দেশজুড়ে লকডাউনের ফলে গত ৫০ দিন ধরে তা দর্শনও বন্ধ হয়ে রয়েছে। কবে দেবতা দর্শন বা ভক্তরা কবে থেকে পুজাআচ্চা শুরু করতে পারবে তা এখনও অজানাই।প্রতিদিন এই মন্দিরে প্রায় ১৮০০-২০০০ জন দর্শনার্থী আসেন। তাদের দান ছাড়াও বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করেও আয় হয়। জানা গিয়েছে, তিরুমালার এই মন্দিকে মাসিক আয় ২০০-২২০ কোটি টাকা। যা গত ৫০ দিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। কিন্তু খরচ তো চলছে। এ প্রসঙ্গে মন্দিরের ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়্যারম্যান ওয়াইভি সুব্বা রেড্ডি বলেন, “বোর্ডকে বেতন, পেনশন-সহ একাধিক খাতে প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হয়। বছরে আনুমানিক খরচ হয় ২,৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু লকডাউনের জেরে আয় তলানিতে ঠেকেছে। ফলে খরচ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছি।” মনে করা হচ্ছে বার্ষিক বাজেটেও বেশকিছুটা কাটছাঁট করতে হবে তাঁদের।