Advertisement
Advertisement
মহারাষ্ট্র

মুশকিল আসানা! লকডাউনে জলের সমস্য মেটাতে তৎপর মহারাষ্ট্রের দম্পতি

২৫ ফিটের গর্ত খুঁড়লেন দম্পতি।

Maharashtra couple find out sollution of water problem
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 21, 2020 4:13 pm
  • Updated:April 21, 2020 4:13 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে গৃহবন্দি দেশবাসী। কিন্তু এই টানা লকডাউনে কিছুই না করে বাড়িতে বসে থাকতে কার ভাল লাগে? তাই সকলেই নিজেদের বাড়িতে ব্যস্ত রাখার নয়া ফন্দি-ফিকির খুঁজছেন। এমতাবস্থায় মহারাষ্ট্রের ওয়াসিমে এক দম্পতি গ্রামের মানুষের মুশকিল আসানে নেমে পড়লেন রাস্তায়। ২৫ ফিট গর্তের কুয়ো বানিয়ে গ্রামের মানুষের জলের সমস্যা দূর করছেন তাঁরা।

প্রথমে ২১ দিন পরে আরও ১৯ দিন। লকডাউনের পর্ব যেন আর শেষই হয় না। এই সময়ে নিজেদের ব্যস্ত রাখতে কেউ ডালগোনা কফি বানিয়ে সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করে বিখ্যাত হচ্ছেন। কেউ বা বাড়িতে বসেই নয়া রেসিপি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন পরিজনেদের। তবে মহারাষ্ট্রের ওয়াসিমের এক দম্পতি পরিচিতির আলোয় এসেছেন অন্যের কথা ভেবে। না কোনও রান্না বা রূপ চর্চা নয়। গজানন পাকমোড ও তাঁর স্ত্রী পুষ্পা প্রায় ২৫ ফিট গভীর একটি কুয়ো বানিয়ে ফেলেছেন। গরমে স্থানীয়দের জল কষ্ট দূর করতে সেই কুয়ো থেকে তাঁরা জল তুলে দিচ্ছেন গ্রামের মানুষদের। পেশায় রাজমিস্ত্রী গজানন পাকমোড এই কাজে পটু হলেও ২৫ ফিট গভীর কুয়ো নির্মাণ করা সহজ কাজ নয়। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর স্ত্রী পুষ্পা। এই কাজ করতে সাহস জোগায় তাঁদের দুই সন্তান। গজানন পাকমোডের কথায়, “লকডাউনের ফলে আমরা ঘরে আটকে পড়ি। তখনই নতুন কিছু করার ভাবনা আসে মাথায়। কিন্তু কী করব তা বুঝে উঠেত পারছিলাম না। তাই স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে স্থির করি প্রথমে বাড়ির সামেন একটা পুজো করব। তারপরে এই কুয়ো খুঁড়তে শুরু করি।” গজানন আরও বলেন, ” এই কাজ শুরু করার পর কয়েকজন প্রতিবেশী আমাদের বিদ্রুপ করেছিল, হেসেছিল এই কাজ দেখে। কিন্তু টানা ২১ দিনের চেষ্টায় ২৫ গর্ত করার পর জল দেখতে পাই।”

[আরও পড়ুন:লকডাউন ভাঙার জের, উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অধ্যাপক-সহ ৩০ জন তবলিঘি জামাত সদস্য]

জানা যায় এই গভীর কুয়ো খুঁড়তে কোনও অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্য নেননি এই দম্পতি। অনেক সময় গরম পড়লে পানীয় জলের অভাব দেখা দেয় এই রাজ্যে ফলে সরকারের কাছে আবেদন জানালে তারা এসে মাটি খুঁড়ে জলের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু এখন সেই সুযোগ নেই। তাই নিজেদেরই ব্যবস্থা করতে হল।তবে জলের প্রয়োজনে এবার আর অন্যত্র যেতে হবে না বলে খুশি এই দম্পতি।

[আরও পড়ুন:বড়লোকের স্যানিটাইজারের জন্য গরিবের ভাত মারার পরিকল্পনা! কেন্দ্রকে বিঁধলেন রাহুল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ