সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার প্রভাব থেকে নিজেকে তথা নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে ব্যস্ত সকলে। তাই বাজারের প্রতিটি দোকানে বেড়েছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা। সেই চাহিদা মেটাতে গিয়ে ওষ্ঠাগত প্রাণ হচ্ছেন ওষুধ নির্মাণ সংস্থাগুলি। ফলে বাজারে দেখা যাচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কালো বাজারি। অথবা বলা ভাল হ্যান্ড স্যানিটাইজারের নামে বাজারের একাধিক দোকানে বিক্রি হচ্ছে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
করোনার মরণ কামড় থেকে রাজ্যবাসীর প্রাণ বাঁচাতে প্রতিটি রাজ্যের সরকার অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। কোনও মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যে ‘লক ডাউন’-এর প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন, কেউ বা নিজের রাজ্যে মহামারি আইন লাগু করেছেন আগেভাগেই।সঙ্গে রয়েছে শাস্তির ব্যবস্থা তবে ভারতের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে। ফলে এই দুই রাজ্যের মানুষ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমন সময় বাকি রাজ্যগুলির তুলনায় মহারাষ্ট্র সরকার একধাপ এগিয়ে আসেন। বাজারে বিক্রি হওয়া নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার রুখতে মহারাষ্ট্রের খাদ্য সুরক্ষা মন্ত্রী রাজেন্দ্র সিংঘানে রাজ্যের ওষুধ নির্মাণ সংস্থাগুলিকে ডেকে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি বন্ধ করতে বলেন। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও সচেতনতা অবলম্বন করা উচিৎ। কারণ,হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মধ্যে যদি সঠিক পরিমাণে অ্যালকোহলের পরিমাণ না থাকে তাহলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যাবে প্রবলভাবে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে এপর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৯ জন। গতকাল এই রাজ্যেই মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধের।
[আরও পড়ুন:এপ্রিলে নয়, আইপিএলের জন্য বিকল্প দিনক্ষণ ভাবছে বোর্ড]
অন্যদিকে করোনার সংক্রমণ থেকে বিশ্বব্যাপী মানুষকে রক্ষা করতে ফ্রান্সের বিখ্যাত সুগন্ধী নির্মাণ সংস্থাগুলি বর্তমানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করতে শুরু করেছে। বৃহত্তর স্বার্থে নিজেদের সুগন্ধীর ব্যবসাকে কিছুদিন বন্ধ রেখে তারা হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করতে শুরু করেন। ফলে ফ্রান্স ও প্যারিসের বাজারেও যে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যেই সেই অভাব মিটে যাবে। এমনটাই আশা করছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।