Advertisement
Advertisement

Breaking News

কীভাবে কনভয়ে ঢুকে হামলা চালাল জঙ্গিরা? পুলওয়ামার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা

৮ ফেব্রুয়ারি জঙ্গি হামলার সতর্কতা জারি করেছিল আইবি৷

Major terror attack in Pulwama
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 14, 2019 8:58 pm
  • Updated:February 14, 2019 9:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপুরায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যুমিছিল৷ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৪০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ জখম জওয়ানদের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হাজারও প্রশ্নের ভিড়৷ কীভাবে কনভয়ে ঢুকে হামলা চালাল জঙ্গিরা, সেই প্রশ্ন এখন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের৷

[স্বাধীন ভারতে সবচেয়ে বড় হামলা পুলওয়ামায়, জরুরি বৈঠকে অজিত দোভাল]

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগে হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা৷ গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিল আইবি৷ তারপর সপ্তাহখানেক কাটতে না কাটতেই কনভয়ে ঢুকে হামলা চালাল আত্মঘাতী জঙ্গি৷ কীভাবে কনভয়ের মধ্যে ঢুকে হামলা চালাল জঙ্গিরা, সেই উত্তরের খোঁজে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি, উপত্যকা লাগোয়া যেকোনও এলাকায় কনভয়ের আকার হয় অনেকটাই ছোট৷ সেক্ষেত্রে পুলওয়ামার কনভয়ে ছিলেন ২৫০০জন জওয়ান৷ কেন কনভয়ে এত বেশি সংখ্যক জওয়ান ছিলেন তা বড়সড় ভাবনার কারণ৷ দ্বিতীয়ত, কনভয়ের মধ্যে কোনও গাড়ি ঢুকতে পারে না৷ তা সত্ত্বেও কীভাবে প্রায় ২০০ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিরাপত্তার চাদর সরিয়ে ঢুকে পড়ল মাথাচাড়া দিয়েছে সেই প্রশ্নও৷ জঙ্গি হামলার সতর্কতার পরেও এমন বড়সড় হামলার কারণ হিসাবে নিরাপত্তার ফাঁকফোকরকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ২০১৬ সালে উরিতে ফিদায়েঁ জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ১৯ জন জওয়ান৷ উরির হামলা আবার তার উপর আইবির সতর্কতার পরেও নিরাপত্তা বাহিনী কোনও আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়নি বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের৷ জঙ্গিদের হামলার পদ্ধতিও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের৷ তাঁদের মতে, সাধারণত গাড়ি নিয়ে এসে হামলার ঘটনা সাধারণত ঘটে থাকে বিদেশে৷ কিন্তু এহেন হামলা আগে কখনও দেখেনি উপত্যকা৷ একসঙ্গে একাধিক সেনা জওয়ানকে খুনের উদ্দেশ্যেই জঙ্গিরা বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে কনভয়ে ঢুকে পড়ে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের৷ 

Advertisement

[আত্মঘাতী জঙ্গির ভিডিও প্রকাশ, পুলওয়ামায় হামলার দায় স্বীকার জইশ-ই-মহম্মদের]

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার শ্রীনগর-অনন্তনাগ হাইওয়ের উপর দিয়ে জম্মু থেকে শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিল সিআরপিএফের ৫০টি গাড়ির কনভয়। ছিলেন কমপক্ষ ২৫০০ জন জওয়ান৷ আচমকাই ২০০ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি ওই কনভয়ে ঢুকে পড়ে৷ ধাক্কা মারে জওয়ানদের বাসে৷ সঙ্গে সঙ্গে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি চালায় বলে দাবি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের। এই ঘটনায় একে একে অন্তত ৪০ জন জওয়ান নিহত হন। আহত হয়েছেন বহু জওয়ান। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ জওয়ানের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাঁদের শ্রীনগরে সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদের ভিডিও প্রকাশ করে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জইশ-ই-মহম্মদ৷ জঙ্গি হামলার ঘটনার পরই সিআরপিএফ কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং অজিত দোভালের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ শুক্রবার দলীয় কর্মসূচি বাতিল করে পুলওয়ামায় যাওয়ার কথা রাজনাথের৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ