Advertisement
Advertisement
Gorkhaland

গোর্খাল্যান্ডের ‘সমর্থনে’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর

শহিদ গোর্খা সৈনিক মেজর দুর্গা মল্লর কথা মনে করিয়ে দেন সাংমা।

Meghalaya CM writes letter to Amit Shah supporting Gorkhaland in Bengali News | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 16, 2020 1:16 pm
  • Updated:September 16, 2020 1:23 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার গোর্খাল্যান্ডের ‘সমর্থনে’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পত্রাঘাত করলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। ভারতীয় সমাজে গোর্খাদের অবদানের কথা উল্লেখ করে জনগোষ্ঠীটির পৃথক রাজ্যের দাবি খতিয়ে দেখার আবেদন জানান ‘ন্যাশনাল পিপলস পার্টি’র প্রধান।

[আরও পড়ুন: গত ৬ মাসে চিন সীমান্ত দিয়ে একজনও অনুপ্রবেশ করেনি, সংসদে সাফ জানাল কেন্দ্র]

অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে সাংমার বক্তব্য, “গোর্খাল্যান্ডের দাবিটির বিষয়ে আপনি অবগত। ওই অঞ্চলে বহুযুগ ধরে বাস করছেন গোর্খারা। নিজের মাতৃভূমির প্রতি তাঁদের অবদান মাপা কঠিন। এই দেশকে রক্ষা করতে নিজেদের প্রাণ পর্যন্ত হেলায় বিসর্জন দিয়েছেন গোর্খারা। অন্যদের মতো গোর্খারাও এ দেশের নাগরিক। তাদের নিজস্ব পরিচয় ও বাসস্থানের অধিকার আছে।”

Advertisement

জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ অমিত শাহকে চিঠি পাঠান কনরাড (Conrad Sangma)। তবে গতকাল বা মঙ্গলবার বিষয়টি প্রকাশ করে এনডিএ’র জোটসঙ্গী ন্যাশনাল পিপলস পার্টি। ওই চিঠিতে স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা আজাদ হিন্দ ফৌজের (INA) শহিদ গোর্খা সৈনিক মেজর দুর্গা মল্লর কথাও উল্লেখ করেন মেঘলিয়ের মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া, দিগম্বর সিং গুরুং, বাহাদুর সিং গুরুং ও রাম সিং ঠাকুরির মতো গোর্খা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথাও মনে করিয়ে গোর্খাল্যান্ডের পক্ষেই সওয়াল করেন কনরাড। উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিয়েছিলেন দুর্গা মল্ল। নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে মেজর পদ লাভ করেন তিনি। দুর্ভাগ্যবশত, কোহিমার যুদ্ধ চলাকালীন তাঁকে বন্দি করে ফেলে শত্রু সৈনিকরা। পড়ে কুখ্যাত লালকেল্লার বিচারে (Red Fort trial) তাঁকে দেশদ্রোহীতার অভিযোগে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে শরিক দলের এহেন চিঠিতে খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবি মেনে ফের ‘বঙ্গভঙ্গ’ করার চেষ্টা করলে বাংলার রাজনীতির ময়দানে খেসারত দিতে হবে গেরুয়া শিবিরকে বলেই মত বিশ্লেষকদের। উলটোদিকে পাহাড়ি জনতার মন পেতে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বেশ কয়েকবার সম্মতিসূচকভাবে মাথা দুলিয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা। ফলে এই দাবি নিয়ে আগামী দিনে কী পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র তা সময়ই বলবে।

[আরও পড়ুন: করোনায় ত্রস্ত অসমে ম্লান দুর্গোৎসব, সংক্রমণ ঠেকাতে ডিব্রুগড়ে নিষিদ্ধ মূর্তিপূজা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ