সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত এক শ্রমিক দম্পতি। মৃত দম্পতি ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা বলে জানা যায়। স্থানীয়রা তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
একেই বোধহয় বলে ভাগ্যের পরিহাস। লকডাউনের আবহে দীর্ঘদিন বাড়ি ছাড়া ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা কৃষ্ণা ও প্রমিলা সাউ। উত্তরপ্রদেশের লখনউতে শ্রমিকের কাজ করতেন তাঁরা। সাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে লখনউয়ের শহিদ পাঠ এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁদের। খবর পেয়ে স্থানীয়রা প্রথমে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। দম্পতির সঙ্গেই তাঁদের দুই সন্তান ছিল বলেও জানা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারাই গিয়ে দম্পতির সন্তানদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তবে কোনও গাড়ি এই দম্পতিকে ধাক্কা মেরেছে বা কোন গাড়িতে তাঁদের দুর্ঘটনা ঘটেছে তার খোঁজ করছে পুলিশ। দুর্ঘটনাস্থল থেকে দম্পতির একটি ছবিও খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। তবে কৃষ্ণ ও প্রমিলা কতদিন ধরে লখনউতে ছিলেন তা জানা যায়নি। এমনকি কোথায় কাজ করতেন তা এখনও অজানা।
[আরও পড়ুন:লকডাউন তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্র স্বচ্ছ ধারণা দিক, আবেদন রাহুল গান্ধীর]
এই দম্পতির মতো মাত্র কয়েকসপ্তাহ আগেই মধ্যপ্রদেশে বাড়ি ফিরতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক শ্রমিকের। মহারাষ্ট্র থেকে সাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় ডিহাইড্রেশন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মধ্যপ্রদেশে মারা যান সেই শ্রমিক। তবে লকডাউনে অধৈর্য্য হয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের এভাবে বাড়ি ফেরার সময় বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে বিরোধীদের কাছে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। পায়ে হেঁটে রাজ্যে ফিরতে তাই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিষেধ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আজ সকালে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে মালগাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ১৫ জন পরিযায়ী শ্রমিকের। তাই পায়ে হেঁটে নয় যারা ফিরতে ইচ্ছুক তাদের জন্য সরকার সবরকমের ব্যবস্থা করবে।