Advertisement
Advertisement

Breaking News

পরিযায়ী শ্রমিক

সংক্রমণ ছড়াতে পারেন পরিযায়ী শ্রমিকরা, রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ বিশ্ব ব্যাংকের

লকডাউনের জেরে সবচেয়ে প্রভাবিত পরিযায়ী শ্রমিকরা, দাবি বিশ্ব ব্যাংকের।

Migrant Workers Returning Home Could Spread Coronavirus, says World Bank

ফাইল ছবি

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:April 12, 2020 2:32 pm
  • Updated:April 12, 2020 2:32 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ছড়াতে পারেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে বিভিন্ন রাজনীতিবিদরা বেশ কয়েকদিন ধরে সরব। এবার এই প্রসঙ্গে সতর্ক করল বিশ্ব ব্যাংকও। রবিবার বিশ্ব ব্যাংকের তরফে আশঙ্কা করা হয়েছে, লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বিভিন্ন রাজ্য থেকে ঘরে ফিরেছেন। তাঁরা শরীরে মারণ জীবাণু বহন করতে পারেন বলে বিশ্ব ব্যাংকের বিশেষজ্ঞদের মত। ভারতের যে যে এলাকায় করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে সেই পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে এমনই আশঙ্কা তাঁদের।

এদিন, আঞ্চলিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাংক। সেখানে ঘন জনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ শহরতলিতে করোনা সংক্রমণ রোধ করা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক। বসতির বাসিন্দা এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে পরিস্থিতি খারাপ হওয়া শুরু হতেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়। অন্তর্দেশীয় পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতেই লক্ষ লক্ষ ভিনরাজ্যে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরের ফিরতে শুরু করেন। যা নিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের আশ্বাস সত্ত্বেও খাদ্যসংকটের ভয়ে নিজেদের ঘরে পাড়ি দিতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে বলে মত বিশ্ব ব্যাংকের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে ধুন্ধুমার, পুলিশের হাত কেটে পালাল দুষ্কৃতীরা]

যে জনস্রোত দেখা গিয়েছে ভারতে তাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের মারফত সংক্রমণ গ্রাম-শহরতলিতে ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাংকের। বিশ্ব ব্যাংকের ‘দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সমীক্ষা: COVID-19 প্রভাব’ শীর্ষক রিপোর্টে এই আশঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে রিপোর্টে এও উল্লেখ, যে লকডাউনের জেরে উপমহাদেশে বহু পরিযায়ী শ্রমিকের জীবন-জীবিকায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। কর্মহীন হয়ে পড়ায় দিন আনি দিন খাই মানুষরা মাইলের পর মাইল হেঁটে নিজেদের ঘরে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। প্রকাশিত রিপোর্টে সংক্রমণ প্রবণ অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করে সেগুলিকে হটস্পট ঘোষণা করে জরুরি পদক্ষেপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবার তাজেও করোনার থাবা, আক্রান্ত ৬ হোটেল কর্মী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ