সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাকে হারাতে প্রত্যেককে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একান্ত বাইরে বেরলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিচ্ছে প্রশাসন। আর এই আবহেই কিনা যৌন লালসার শিকার হতে হল নাবালিকাকে! ভাবতে অবাক লাগলেও এ দেশেই ঘটছে এমন নির্মম ঘটনা। অপহরণ করে গাড়ির মধ্যে তিন ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করা হল ১৭ বছরের এক তরুণীকে।
ঘটনাস্থল সেই ভোপাল। লকডাউনের মধ্যেও যে শহরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ধর্ষণের ঘটনা শিরোনামে উঠে এল। পুলিশে সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ এপ্রিল গোবিন্দপুরার BHEL টাউনশিপ এলাকায় ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। হাসপাতাল যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ১৭ বছরের তরুণী। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই তাকে অপহরণ করা হয়। টেনে হিঁচড়ে তাকে একটি গাড়িতে তোলা হয়। এরপর একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করা হয়। তার কাতর আর্তনাদ কারও কানে পৌঁছয়নি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, ওই হাসপাতাল থেকে গোবিন্দপুরার মধ্যে প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তায় কোনও চেক পয়েন্টে গাড়িটিকে দাঁড় করায়নি পুলিশ। লকডাউনের মধ্যেও কোনও বাধা ছাড়াই এগিয়ে যেতে পেরেছে ওই গাড়ি।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে হেঁটেই পার ৫০০ কিলোমিটার! বাড়ি ফিরল উত্তরপ্রদেশের ৪ পড়ুয়া]
ঘটনার পর কোনওক্রমে সেখান থেকে ফেরে নাবালিকা। পরের দিন বন্ধুকে সমস্ত বিষয় খুলে বলে। বন্ধুই তাকে পুলিশের কাছে নিয়ে যায়। দায়ের হয় লিখিত অভিযোগ। নির্যাতিতা বয়ানে দু’জনের নাম উল্লেখ করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা হল শফিক খান এবং আবিদ খান। এএসপি রজত সকলেচা বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পকসো আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
দিন কয়েক আগেই ভোপালের শাহপুরা এলাকায় যৌন লালসার শিকার হয়েছিলেন দৃষ্টিহীন এক প্রৌঢ়া। অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। এবার গোবিন্দপুরায় ধর্ষিতা নাবালিকা। লকডাউনেও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ আটকাতে কেন ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন? উঠছে প্রশ্ন।