Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mira Road killing

‘প্রেমিকা নয়, ও আমার মেয়ের মতো’, আজব দাবি যুবতীর দেহ টুকরো করা মুম্বইয়ের প্রৌঢ়ের

লিভ ইন সঙ্গীকে খুন করে দেহ সেদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে।

Mira Road killing: She was ‘like daughter’, says man accused of cutting partner | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 9, 2023 11:51 am
  • Updated:June 9, 2023 11:51 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো, টুকরো করে সেদ্ধ করার অভিযোগ। অথচ অভিযুক্ত মনোজ সাহানি কিছুই স্বীকার করছেন না। তাঁর দাবি, সঙ্গীকে খুন করেননি তিনি। এমনকী মৃত সরস্বতী বৈদ্য তার প্রেমিকাও ছিলেন না। তাঁদের সম্পর্ক ছিল অনেকটা বাবা-মেয়ের মতো।

মুম্বইয়ের মীরা রোডের গীতা নগর ফেস ৭-এর একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন সরস্বতী বৈদ্য এবং মনোজ সাহানি। দিন কয়েক আগে খুন হয়েছেন সরস্বতী। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, সরস্বতীকে হত্যার পর গাছকাটা করাত দিয়ে দেহ টুকরো করেন প্রৌঢ়। এমনকী প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহাংশ সেদ্ধ করেন কুকারে। যদিও প্রতিবেশীরা ভাড়ার ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরও বিস্তারিত তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, সরস্বতী বৈদ্যকে খুন করার পর তাঁর দেহাংশ ৩টি বালতির মধ্যে ভরে রেখেছিলেন অভিযুক্ত প্রৌঢ় মনোজ সাহানি!

Advertisement

[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী, মনোয়নের সময় বাড়ানোর দাবি, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হাই কোর্টে যাচ্ছেন শুভেন্দু-অধীর]

যদিও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মনোজ এসবই অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, “সরস্বতীর সঙ্গে আমার প্রেমের কোনও সম্পর্ক নেই। শারীরিক সম্পর্কও নেই। ও আমার মেয়ের মতো।” অভিযুক্ত মনোজ জানিয়েছেন, ২০০৮ সাল থেকে তিনি HIV পজিটিভ। তাঁর চিকিৎসা চলছে। সরস্বতীর সঙ্গে একসঙ্গে থাকতেন বটে, তবে সেটা বাবা-মেয়ের মতো। মনোজের দাবি, ৩২ বছর বয়সি সরস্বতী SSC ক্লাস টেনের পরীক্ষা দিতে চেয়েছিল। সেকারণেই নাকি তাঁর কাছে পড়াশোনা করত। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, মনোজ এবং সরস্বতী দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকছিলেন। তাঁদের মধ্যে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। মনোজকে সন্দেহ করতেন সরস্বতী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আবাসে ৩৪ হাজার নাম বাদ দিল কেন্দ্র, টাকা এলেও পাবে ১১ লক্ষ পরিবার]

অভিযুক্ত মনোজের (Manoj Sahani) দাবি, তিনি সরস্বতীকে খুনও করেননি। একদিন বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর দেহ পড়ে আছে মাটিতে। মুখ দিয়ে সাদা ফেনা বেরোচ্ছে। ভয় হয়েছিল, পুলিশ তাঁকে ফাঁসিয়ে দিতে পারে। সেকারণেই দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছেন। যদিও মুম্বই পুলিশ মনোজের এই বয়ানকে মনগড়া গল্প বলেই মনে করছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ