সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন অমান্যকারীদের ধরার ফলেই বিপত্তি। মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে করোনায় আক্রান্ত হলেন এক পুলিশ আধিকারিক। তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। লকডাউনের আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনে (NSA) মামলাও রুজু করা হয়।
২০ এপ্রিল জবলপুরের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস মেডিক্যাল কলেজের কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে যান এক ব্যক্তি। তাঁকে ধরার ফলেই করোনায় আক্রান্ত হন এক পুলিশ আধিকারিক। এক কোয়ারেন্টাইন পলাতককে ধরার ফলই যে এত গুরুতর হবে তা ভাবতেই পারেননি পুলিশ আধিকারিক। তবে হাসপাতাল থেকেই প্রথম নয়। পুলিশের খাতায় এই ব্যক্তি আগেই অভিযুক্ত হসেবে চিহ্নিত হন। কারণ, ৯ এপ্রিল অভিযুক্ত জাভেদ খান-সহ আরও তিন জন ইন্দোরের এক পুলিশ কনস্টেবলকে হেনস্তা করে। বাধ্য হয়ে সেখানে পুলিশের কয়েকজন আধিকারিককে পাঠান হয়। তাঁরা গিয়ে জাভেদ খান-সহ আরও তিনজনকে ধরে নিয়ে আসে। পরে জাভেদ খানকে যেই হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইন রাখা হয় সেখানে থেকেও পালিয়ে যায়। তখন এক পুলিশ আধিকারিক তাঁকে ধরে ফেলেন ও হাসপাতালে ফেরত পাঠান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানান হয় জাভেদ খান করোনায় পজিটিভ। সেটা জেনেই পিলে চমকায় পুলিশের। আইন অমান্য় করায় ও পুলিশ কর্মীকে হেনস্তা করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এনএসএ আইন লাগু হয়। তবে যে পুলিশ আধিকারিক তাকে ধরতে যান তাঁকেও কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হয়। একে লকডাউনের জের তার উপর করোনা সংক্রমণের ফলে মুশকিলে পড়েন পুলিশ আধিকারিক। তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে পরীক্ষা করা হয়। জানা যায় পুলিশ আধিকারিকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
[আরও পড়ুন:একঘেয়েমি কাটাতে বন্ধুদের সঙ্গে তাসের আসর জমালেন ট্রাকচালক, করোনার কবলে ২৪ জন]
পুলিশ সূত্রে খবর, ১১ এপ্রিল জাভেদ খানকে জবলপুরের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয়। সেখান থেকে ১৯ তারিখ রাতে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তবে তাঁকে চেক পোস্ট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এলেও বাকি অভিযুক্তদের কারোর শরীরেই করোনার নমুনা পাওয়া যায়নি। তাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুলিশ আধিকারিকের আক্ষেপ, কোয়ারেন্টাইন পলাতকের চেয়ে চোর ধরাই শ্রেয়।