Advertisement
Advertisement
Hijab Controversy

‘দেশে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা নেই’, বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন মুখতার আব্বাস নকভি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শৃঙ্খলা রয়েছে, মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।

Mukhtar Abbas Naqvi Says There is No Ban on Wearing Hijab in India | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:February 27, 2022 8:57 pm
  • Updated:February 27, 2022 9:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা নেই দেশে। কর্ণাটকে (Karnataka) হিজাব বিতর্ক মধ্যেই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি (Mukhtar Abbas Naqvi)। রবিবার মন্ত্রী আরও বলেন, জনগণকে বুঝতে হবে সাংবিধানিক অধিকার ও কর্তব্যগুলি একইরকম গুরুত্বপূর্ণ।

রবিবার হায়দরাবাদে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি (G Kishan Reddy), তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি (Mohammed Mahmood Ali) ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নকভি ৩৭তম ‘হুনার হাট’ উদ্বোধন করেন। ‘হুনার হাট’-এর মাধ্যমে তেলেঙ্গানার দক্ষ কারিগরদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।এই অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নকভি বলেন, “বিষয়টি (হিজাব) আদালতের বিচারাধীন… ভারতে হিজাব পরা নিয়ে কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা নেই। এটা স্পষ্ট, তবে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শৃঙ্খলা রয়েছে, ড্রেসকোড তথা ইউনিফর্ম রয়েছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা যখন সাংবিধানিক অধিকারের কথা বলি, তখন আমাদের সংবিধানের কর্তব্যগুলি নিয়েও কথা বলা উচিত।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ইউটিউব দেখে যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচার! করুণ পরিণতি হল যুবকের]

আগেই কর্ণাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court) জানিয়েছিল, যতদিন না হিজাব সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন হিজাব-সহ কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না স্কুল ও কলেজে। এরপর গত ১০ জানুয়ারিতে আদালত জানিয়ে দেয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্দেশ দিলে ইউনিফর্ম পরতে হবে পড়ুয়াদের। তবে এইসঙ্গে জানানো হয়, স্কুল-কলেজে ধর্মীয় পোশাকের নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র পড়ুয়াদের জন্যে, শিক্ষকদের ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে না।

প্রসঙ্গত, কর্ণাটক সরকার গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তার পর থেকেই সেরাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করেছিল। বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন কয়েকজন মুসলিম পড়ুয়া। বর্তমানে ওই মামলারই শুনানি চলছে কর্ণাটক হাই কোর্টে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ