Advertisement
Advertisement

মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত মুস্তাফা দোসার রহস্যমৃত্যু

মঙ্গলবারই দোসার মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আবেদন করেছিল সিবিআই।

Mumbai blast convict Mustafa Dossa dies in Hospital
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 28, 2017 9:37 am
  • Updated:June 28, 2017 9:37 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম দোষী মুস্তাফা দোসার মৃত্যু হল বুধবার। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন ভোরবেলা বুকে প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হয় দোসার। তারপরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বইয়ের জে জে হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। জানা গিয়েছে, বহুদিন থেকেই উচ্চ-রক্তচাপ ও বহুমূত্র রোগে ভুগছিল সে। তবে মৃত্যুর আসল কারণ এখনও জানা যায়নি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দোসার মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আবেদন করেছিল সিবিআই।

কয়েক বছর ধরে চলা মুম্বই বিস্ফোরণের মামলার অন্তে জুনের ১৬ তারিখ মুস্তাফা দোসা-সহ সাত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ ‘টাডা’ আদালত। একই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় কুখ্যাত গ্যাংস্টার আবু সালেম, ফিরোজ খান, করিমুল্লা খান, তাহের মার্চেন্ট, মুস্তাফা দোসা, রিয়াজ সিদ্দিকি নামের অভিযুক্তরা। তবে দোষীদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ প্রমাণিত করা যায়নি। আর এক অভিযুক্ত আবদুল কায়্যুমকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস দিয়েছিল  আদালত। ১৯৯৩-এর ধারাবাহিক বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হয়েছিল বাণিজ্যনগরী। প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ২৫৭ জন নিরীহ মানুষ, আহত হন ৭১৩ জন। জানা যায়, ওই নৃশংস হামলার পিছনে হাত ছিল দাউদ ওরফে ‘ডি কোম্পানি’র।

Advertisement

[হুরিয়ত নেতা গিলানির জামাইকে আটক করল NIA]

Advertisement

ওই বিস্ফোরণের তদন্তের পর দফায় দফায় দাউদ, আবু সালেম থেকে শুরু করে বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু হয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতেই মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল বলে তদন্তে জানিয়েছিল সিবিআই। হামলার জন্য পাকিস্তান থেকে বিস্ফোরক ও অন্যান্য সামগ্রী চোরাপথে ভারতে পাঠায় দাউদ ইব্রাহিম ও আবু সালেম। মুস্তাফা দোসা ও তার ভাই মহম্মদ দোসা হামলাকারীদের গোপনে দেখা করা ও ছক কষার বন্দোবস্ত করে দেওয়ার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। দুবাই ও পাকিস্তান থেকে মুম্বই হামলার জন্য প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক ও অস্ত্রের আমদানির পিছনেও হাত ছিল মুস্তাফা দোসার। সঞ্জয় দত্তের বাড়িতে অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিল আবু সালেম।

মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার প্রথম দফা সম্পূর্ণ হয় ২০০৭ সালে। ওই মামলায় বিশেষ টাডা আদালত ১০০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। যদিও অভিযুক্তরা রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে, তবে তা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ওই মামলায় সঞ্জয় দত্তের পাঁচ বছরের জেলের সাজা হয় ও ষড়যন্ত্রকারী ইয়াকুব মেমনকে ২০১৫ সালে ফাঁসি দেওয়া হয়। তবে এখনও দাউদ ইব্রাহিম, টাইগার মেমন-সহ একাধিক অভিযুক্ত পলাতক।

[ঝগড়ার মধ্যেই সজোরে শ্বশুরের যৌনাঙ্গে চাপ বধূর, তারপর…]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ