Advertisement
Advertisement

Breaking News

একরাশ অন্ধকারেও আলো দেখাচ্ছে মুম্বইয়ের ধারাভি, চমকপ্রদ হারে কমেছে করোনা সংক্রমণ

গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একজনের মৃত্যু হয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম বসতিতে।

Mumbai's Dharavi, hotspot for COVID-19 reports sharp drop In new cases
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 25, 2020 12:07 pm
  • Updated:April 25, 2020 12:07 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেক আঁধারের মাঝেও যে আলোর ঝিলিক থাকে, তা যেন ফিরে ফিরে আসছে এই কঠিন সময়েও। করোনা কবলিত বিশ্বে নতুন প্রদীপ জ্বলে উঠছে এশিয়ার বৃহত্তম বসতি এলাকায়। রিপোর্ট বলছে, গত কয়েকদিন মুম্বইয়ের ধারাভি বসতির করোনা আক্রান্তের গ্রাফটা একধাপে অনেকটা নেমে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে নতুন করে করোনা পজিটিভের সংখ্যা ৬, মৃত্যু হয়েছে একজনের। এই পরিসংখ্যানই আশা দেখাচ্ছে ধারাভির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে।

অথচ দেশে করোনা থাবা বসানোর পর এই ধারাভি নিয়েই চিন্তা ছিল সর্বাধিক। এশিয়ার বৃহত্তম বসতি এলাকায় মাত্র ২ বর্গ কিলোমিটারের অন্তত ৮ লক্ষ মানুষের বসবাস। ছোট ছোট ঘুপচি ঘরে থাকেন অনেকে মিলে। ধারাভি স্বচক্ষে যাঁরা দেখেছেন, তাঁরাই বুঝতে পারেন যে এখানে একবার করোনার সংক্রমণ প্রবেশ করলে, কী পরিস্থিতি হতে পারে। নিমেষে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ। কারণ, এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো পরিকাঠামোই নেই। সচেতনতার আলোও এখানে পড়ে না। ফলে যা হওয়ার, তাইই
হয়েছিল। এক, দুই থেকে সাত, আট থেকে ৫০ পেরিয়ে ১০০, ২০০ – বাড়তেই থেকেছে সংখ্যাটা। এখনও পর্যন্ত এখানে করোনা আক্রান্ত ২২০ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এই ধারাভি বসতি থেকেই ভারতে ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ’ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল সর্বাধিক। যে ধাপে এখনও পা রাখেনি ভারত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘সবার মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করছি’, রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট প্রধানমন্ত্রীর]

বেশ কয়েকদিন উদ্বেগ বাড়িয়েই ফের আশার আলো দেখিয়েছে মুম্বইয়ের ধারাভি। গত কয়েকদিনে এখানে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে অনেকটাই। মৃত্যুও বাড়েনি। কোন জাদুতে এমনটা সম্ভব হল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (BMC) কৃতিত্বই উঠে আসছে। জানা গিয়েছে, এই বসতিকে কয়েকটি সংক্রামক এলাকায় (Containment Zones) হিসেবে ভাগ করে, সেখানে দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। বাইরে বেরনো থেকে একেবারে আটকে রাখা গিয়েছে ধারাভিবাসীকে। লক্ষ্য ছিল একটাই – ব্রেক দ্য চেন অর্থাৎ সংক্রমণের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলা। আর সেই পদক্ষেপেই এমন অসাধ্য সাধন। যদিও এখনই নিজেদের সাফল্য মানতে রাজি নন প্রশাসনিক কর্তারা। তাঁদের মতে, ধারাভি একেবারে নিরাপদ, এখনও তা বলার সময় আসেনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নজরে চিন, এক মাসেরও কম সময়ে অরুণাচলে সেতু তৈরি করল ভারত]

করোনার কামড়ে এদেশের সবচেয়ে জর্জরিত মহারাষ্ট্র। সেখানে রেকর্ড হারে আক্রান্ত, মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই রাজ্যে সংক্রমণ যেন কোনওভাবেই বাগে আনা যাচ্ছে না। শুধুমাত্র একদিনেই নতুন করে ৭৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে এমন উদ্বেগজনক পরিসংখ্যানের মাঝে ধারাভি সত্যিই ব্যতিক্রমী। রাজ্যের আর পাঁচটা জায়গা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার চেয়ে এখানে সবটা সামাল দেওয়ার কঠিন পরীক্ষায় সসম্মানে পাশ করে গিয়েছে প্রশাসন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ