ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় ১৭ বছরের এক কিশোরের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এর জেরে মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের চান্দৌলি এলাকায়। মৃত ওই কিশোরের নাম খালিদ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ১১ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, গত রবিবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মহারাজপুর নামে একটি জায়গায় যাচ্ছিল খালিদ। দুধারি সেতু পার হওয়ার সময় চারজন লোক তাকে জয় শ্রীরাম বলতে বলে। কিন্তু, নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয় দিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে অস্বীকার করে সে। এরপর ওই দুষ্কৃতীরা তাকে অপহরণ করে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে দু’জন তার হাত বেঁধে ফেলে আর একজন শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেয়। আর অন্যজন দেশলাইয়ের কাঠি দিয়ে আগুন ধরিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বলতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তীব্র দহনের জ্বালায় চিৎকার করতে থাকে খালিদ। সেই আওয়াজ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে বেনারসের কবির চৌরা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। হাসপাতালে ভরতি হওয়ার সময় তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ভরতি হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে খালিদের জবানবন্দি নেয় পুলিশ।
যদিও খালিদের অভিযোগে অসংগতি আছে বলে দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ওই কিশোরকে নিজের শরীরে আগুন লাগাতে এক ব্যক্তি দেখেছেন বলেও দাবি করেন চান্দৌলির পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমার সিং। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর খালিদ প্রথমে বলেছিল সে মহারাজপুর গ্রামে যাচ্ছিল। সেসময় চারজন লোক তাকে জোর করে একটি মাঠে নিয়ে যায়। ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বলে। কিন্তু, সে বলতে রাজি না হওয়ায় মারধর করে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিন্তু, পরে নিজের বয়ান বদলে ফেলে খালিদ। তদন্তকারী আধিকারিককে সে জানায়, বাড়ি থেকে বেরোনোর পর চারজন লোক তাকে অপহরণ করে। তারপর বাইকে করে হাতিজা গ্রামে নিয়ে গিয়ে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। মহারাজপুর ও হাতিজা গ্রাম দুটি ভিন্ন অবস্থানে অবস্থিত। তাই খালিদের কোন বক্তব্যটা সত্যি তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.