Advertisement
Advertisement
ধর্মীয় মেরুকরণ

যোগীর রাজ্যে ‘নির্যাতিত’, মোদি জিতলে গ্রাম ছাড়ার সিদ্ধান্ত সংখ্যালঘুদের

বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণে আতঙ্কিত বোধ করছেন মুসলিম গ্রামবাসীরা৷

Muslims plan to leave Uttar Pradesh's Nayabans village if BJP wins polls

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 22, 2019 1:32 pm
  • Updated:May 22, 2019 2:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টাইম মেশিনে চড়ে কয়েক বছর পিছিয়ে যাওয়া যাক৷ উত্তরপ্রদেশের নয়াবাঁসে আগে হিন্দু এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন একসঙ্গে বাস করতেন৷ জন্ম হোক কিংবা মৃত্যু, সবাইকে জীবনের যেকোনও মুহূর্তে একে অন্যকে পাশে পেতেন সকলে৷ সর্বধর্ম সমন্বয়ের ঐতিহ্যকে আগলে বাঁচতেন এখানকার মানুষ৷ কিন্তু হায়! বর্তমানে সেই ছবি পুরোটাই বদলে গিয়েছে৷ এখন আর পথ চলতে দেখা হলেও, কেউ কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেন না৷ বিপদে কেউ কারও পাশেও থাকেন না৷ ধর্মের বেড়াজালই যেন এখন মূল ইস্যু৷ কিন্তু কেন এমন উলটপুরাণ? গ্রামবাসীরা যদিও এই বৈপরীত্যের কারণ খুঁজে পেয়েছেন খুব সহজেই৷

[ আরও পড়ুন: ‘সিংহের গুহায় ঢুকেছিলাম ভুল বোঝাতে’, RSS-এর অনুষ্ঠানে যোগ নিয়ে বললেন প্রণব]

এই গ্রামেরই বাসিন্দা গুলফাম আলি৷ তিনি এলাকায় একটি ছোট্ট দোকান চালান৷ তিনি বলছেন, ‘‘আগে জীবনের দুঃসময় এবং সুসময়ে হিন্দু-মুসলমান সকলে একসঙ্গে থাকতাম৷ যেকোনও অনুষ্ঠানে যেমন একসঙ্গে আনন্দ করেছি৷ তেমনই দুঃখের দিনেও পাশে পেয়েছি৷ কিন্তু বর্তমানে আমাদের জীবনধারা কেমন যেন বদলে গিয়েছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন৷ এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন যোগী আদিত্যনাথ৷ দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিভেদের অন্যতম ‘রূপকার’ও তাঁরা দুজনেই৷’’

Advertisement

বেশ আক্ষেপের সুরে ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদ তৈরি করাই মূল লক্ষ্য দু’জনের৷ এভাবে এই এলাকায় বাস করতে চান না বলেও মন্তব্য করেছেন গুলফাম আলি৷ কিন্তু বললেই তো আর বসতভিটে-ব্যবসা ছেড়ে চলে যাওয়া যায় না, তাই যেতে পারছেন না বলেও দাবি তাঁর৷ গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দার বক্তব্য, আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের৷ রমজান পালন করছেন সকলেই৷ অনেকেই বলছেন, রোজা পালন করতেও নাকি বারবার বাধা পাচ্ছেন তাঁরা৷ মাদ্রাসায় মাইকের ব্যবহার বন্ধ করতে নাকি চাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের৷ শান্তির জন্য অনেক মাদ্রাসা বাধ্য হয়ে মাইকের ব্যবহার বন্ধও করে দিয়েছে৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: নৈশভোজেও আলোচনার কেন্দ্র বাংলা, হিংসার নিন্দায় সরব বিজেপির শরিকরা]

তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ মানুষ যদিও যোগীর রাজ্যের ধর্মীয় মেরুকরণকে সমর্থন করেছেন৷ মাদ্রাসায় ব্যবহৃত মাইক বাজানো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যথেষ্ট খুশি হয়েছেন তাঁরা৷ রাজনীতিকদের মতে, এমন সুকৌশলে হিন্দুত্ববাদকে সকলের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তাতেই নাকি এমন বিরোধিতা তাঁদের৷ ধর্মীয় ভেদাভেদকে তাস হিসাবে ব্যবহার করেই দিল্লি দখলের লড়াইয়ের রাস্তায় হেঁটেছে উত্তরপ্রদেশের গেরুয়া শিবির৷ আদৌ এই কৌশলে সাফল্য মিলবে কি না, তা বোঝা যাবে আগামী ২৩ মে৷ তবে আবারও বিজেপি ক্ষমতায় আসলে নয়াবাঁস ছাড়ার কথা ইতিমধ্যেই ভেবে ফেলেছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী গ্রামবাসীরা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ