Advertisement
Advertisement

Breaking News

Chin state chief minister

ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন চিনের মুখ্যমন্ত্রী! ব্যাপারটা কী?

ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে আরও ৯ হাজার শরণার্থী।

Myanmar's Chin state chief minister have taken refuge in Mizoram । Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 16, 2021 7:38 pm
  • Updated:June 16, 2021 9:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন চিনের (Chin) মুখ্যমন্ত্রী। শুনতে অবার লাগলেও এটাই সত্য। তবে এই চিন মোটেই ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র People’s Republic of China নয়। বরং উত্তর পূর্বে অবস্থিত মায়ানমার (Myanmar) রাষ্ট্রের একটি রাজ্য চিন। জুন্টার নির্মম অত্যাচার থেকে বাঁচতে মিজোরামে ঠাঁই নিয়েছেন চিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গী হয়েছেন আরও ২৪ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এবং মায়ানমারের প্রায় ৯ হাজার বাসিন্দা।

পশ্চিম মায়ানমারের চিন শহরের সঙ্গে ৫০০ কিলোমিটার লম্বা সীমান্ত রয়েছে মিজোরামের। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে সীমান্ত পেরিয়ে চম্পাই শহর হয়ে মিজোরামে প্রবেশ করেছেন চিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সালাই লিয়ান লুয়াই। তিনি আং সান সুকি-র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিরই সদস্য। সূত্রের খবর, লুয়াইয়ের সঙ্গে আরও ২৪ জন নেতা এ রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন:  ASEAN সামিটে নাম না করে দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে বেজিংকে কড়া বার্তা রাজনাথের]

মিজোরামের সিআইডি সূত্রে খবর, সীমান্ত পেরিয়ে এ রাজ্যে প্রায় ৯ হাজার ২৪৭ জন মায়ানমারবাসী এ রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধু সরকারি আশ্রয়েই যে তাঁরা রয়েছেন এমনটা নয়। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এমনকী স্থানীয়দের বাড়িতেও আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। আসলে চিন রাজ্যের সঙ্গে মিজোরামের সংস্কৃতির মিল অনেকটাই। তাই বরাবরই ভারতে আসার চেষ্টা করতেন তাঁরা। এবার দেশে অস্থিরতার সুযোগে ভারতের অঙ্গরাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত বছর বিরোধীদের পরাজিত করে ক্ষমতায় ফিরেছিলেন আং সান সু কি’র (Aung San Suu Kyi) দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (NLD)। মায়ানমার সংসদের নিম্নকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে বিগত দিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সু কি সরকারের। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও করেছে সামরিক ‘জুন্টা’। এরপরই ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের শাসকদল ‘ন্যাশনাল লিগ অফ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’র মুখপাত্র মায়ও নায়ান্ট জানিয়েছিলেন আচমকা কাউন্সিলর সু কি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অন্য নেতাদের আটক করেছে সেনাবাহিনী। অর্থাৎ সেনা অভ্যুত্থান হয়। সে দেশের নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। 

[আরও পড়ুন: রাতারাতি ২৫ শতাংশ পড়ল শেয়ারের মূল্য! আম্বানির প্রতিপক্ষ হওয়ার পথে বড় ধাক্কা আদানি গোষ্ঠীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ