Advertisement
Advertisement

Breaking News

নরেন্দ্র মোদি

লাদাখ সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি চিনের, তিন সেনার প্রধানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, ও সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত।

Narendra Modi held a high-level meeting to discuss stand-off with China
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 27, 2020 8:41 am
  • Updated:May 27, 2020 8:41 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা-ত্রাস, তীব্র আর্থিক মন্দার আশঙ্কা এবং অনিশ্চয়তার মধ্যেই নতুন বিপদ দেখা দিল দেশে। লাদাখে ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘাত তীব্র আকার নিতে চলেছে। ২০১৭ সালের ডোকলাম কাণ্ডের মতো নয়, বলা যেতে পারে ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের মতোই লাদাখে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সংঘাতের আবহ। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে মঙ্গলবার সন্ধেয় জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval), ও সেনা সর্বাধিনায়ক (চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ) জেনারেল বিপিন রাওয়াত (General Bipin Rawat)। উপস্থিত ছিলেন স্থলসেনা প্রধান জেনারেল এম এম নারভানে, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এস কে ভাদোরিয়া, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং।

বৈঠক চলে ঘণ্টা দু’য়েক। সেখানে লাদাখে চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলা করার সামরিক ও কূটনৈতিক কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে। বৈঠকের আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর একদফা বৈঠক করেন তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে। পরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের প্রশাসক গভর্নর আর কে মাথুরের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: যুদ্ধ কি আসন্ন? লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখায় সাঁড়াশি চাপ চিনা ফৌজের]

প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মতে, আপাতত ধরে নেওয়া হচ্ছে, তিন বছর পরে ডোকলাম কাণ্ডের মতোই লম্বা সময় ধরে সংঘাতের পথে যাচ্ছে দু’দেশের সেনা। এবারের সংঘাতও হতে পারে ‘অসামরিক সংঘাত বা মানসিক যুদ্ধ বা স্নায়ুযুদ্ধ’ কিংবা কারগিলের মতো ‘পুরোপুরি সামরিক সংঘাত বা পুরোদমে যুদ্ধ’। তবে দ্বিতীয় পথ অনিবার্য হলে তা হবে শর্ট ইনটেনসিটি ওয়ার বা ‘স্বল্পমেয়াদের বা স্বল্পমাত্রার যুদ্ধ’। হতে পারে তা লাদাখ সেক্টরেই সীমাবদ্ধ থাকল। সেক্ষেত্রে উত্তরাখণ্ড, সিকিম, অরুণাচল সেক্টরে যুদ্ধ হল না। ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিএস হুদা বলেছেন, এবারে চিনা আগ্রাসনের চরিত্র অন্যবারের থেকে পুরো আলাদা। কারগিলের মতো সরাসরি ভারতীয় এলাকায় ঢুকেছে ওরা। বাঙ্কার, টানেল ও পরিকাঠামো তৈরি করেছে। ওরা সহজে সরে যাওয়ার বার্তা দিতে আসেনি।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ