সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন রাজস্থানের বিজেপি বিধায়ক জ্ঞান দেব আহুজা। এবার দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নামের পাশে পণ্ডিত উপাধি ব্যবহার হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। তাঁর মতে, জওহরলাল নেহরু পণ্ডিত ছিলেন না। যিনি গোমাংস ও শূকরের মাংস ভক্ষণ করেন। অন্যান্য জীব-জন্তুর মাংস খেতে পারেন তিনি কীভাবে পণ্ডিত হতে পারেন? এই প্রশ্নই তুলেছেন রামগড়ের (আলওয়ার) বিধায়ক।
#WATCH: BJP MLA Gyan Dev Ahuja says, “Nehru was not a Pandit. One who ate beef and pork, cannot be a Pandit”. (10.08.18) pic.twitter.com/faltELOAgr
— ANI (@ANI) August 11, 2018
[ধর্ষণে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী, পদত্যাগ দাবি কংগ্রেসের]
এই প্রথম নয়, এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সংবাদের শিরোনামে এসেছেন আহুজা। কিছুদিন আগেই তিনি বলেছিলেন, গরু পাচারকারী এবং গো-হত্যা যারা করবে তাদের অবশ্যই মেরে ফেলা উচিত। যেখানে গরুকে দেশে পুজো করা হয়, সেখানে কেন গো-হত্যা করা হবে? এই প্রশ্নই তোলেন তিনি। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি বলেছিলেন, দিল্লির জহওরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর ৩০০০ কন্ডোম এবং ২০০০ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে পড়ুয়ারা নাকি যৌনাসক্ত ও নগ্ন হয়ে ঘোরাফেরা করেন। আর আহুজার এই বক্তব্যের পরই নিন্দার ঝড়ও উঠেছিল।
শনিবার নেহরুর পণ্ডিত উপাধি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আহুজা। একই সঙ্গে রাজস্থানের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শচীন পাইলটকেও একহাত নেন। পাইলট বলেছিলেন, ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে মন্দিরে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়েছে রাহুলের। এই প্রসঙ্গে আহুজা দাবি করেন, ‘রাহুল কোনওদিনই ঠাকুমার সঙ্গে মন্দিরে যাননি। আমার দাবি সত্যি হলে আমি পদত্যাগ করব। আর তা না হলে পাইলটের নিজের পদ ছাড়তে হবে।’ রাহুলের কবে উপনয়ণ অনুষ্ঠান হয়েছে? সে প্রশ্নের উত্তরও ব্যঙ্গ করে জানতে চেয়েছেন তিনি।
[স্বাধীনতা দিবসের আগে রাজধানীর নিরাপত্তায় নামছে দেশের প্রথম মহিলা SWAT টিম]