Advertisement
Advertisement
Karnataka

হিন্দু মন্দিরের আয়ে ১০ শতাংশ কর! কর্নাটকের নতুন বিলে বিতর্কের ঝড়, প্রতিবাদ বিজেপির

হিন্দুবিরোধী সিদ্দারামাইয়া সরকার, সরব বিজেপি

New Controversy over Karnataka new bill of Hindu temple Tax | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:February 22, 2024 9:36 am
  • Updated:February 22, 2024 10:03 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিরুপতির মতো মন্দিরের দৈনিক আয় কোটি টাকা কিংবা তারও বেশি। আস্ত অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের বাৎসরিক আয়কে চ্যালেঞ্জ করতে পারে তিরুপতি ট্রাস্ট। এই ঘটনা অবশ্য কর্নাটকের (Karnataka)। কংগ্রেস (Congress) শাসিত এই রাজ্যে নতুন বিল আনা হয়েছে বুধবার। যার শক্তিতে এবার সিদ্দারামাইয়ার রাজ্যের যে সব মন্দিরে বছরে কোটি টাকা বা তার বেশি আয়, তাদেরকে ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। বুধবার কর্নাটক বিধানসভায় ‘হিন্দু রিলিজিয়াস ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড চ্যারিটেবল এন্ডোমেন্ট বিল’ পাশ হতেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিজেপির (BJP) দাবি, এই বিল প্রমাণ করে দিল কংগ্রেস আসলে হিন্দু বিরোধী একটি দল।

গতকালই এক্স হ্যান্ডেলে কড়া পোস্ট করেছেন কর্নাটকের বিজেপি সভাপতি বিজয়েন্দ্র ইয়েদিউরপ্পা। লিখেছেন, কংগ্রেস সরকার এই বিলের মাধ্যমে তাদের “শূন্য কোষাগার” পূরণ করার চেষ্টা করছে। বিজয়েন্দ্রের আরও প্রশ্ন, কেবল হিন্দু মন্দির থেকেই রাজস্ব সংগ্রহ করা হবে কেন? অন্য ধর্মীয়স্থানগুলি বাদ যাবে কোন যুক্তিতে? ধর্মীয় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন গেরুয়া নেতা।

Advertisement

 

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাড়ির অন্দরে পড়ে চিকিৎসক দম্পতির গলাকাটা দেহ, লেনদেন নিয়ে অশান্তির জের?]

যদিও কর্ণাটকের পরিবহণমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা রামালিঙ্গা রেড্ডি বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ওই করের অর্থ সরকার নেবে না। বরং ‘ধর্মীয় পরিষদে’র কাজেই ব্যবহার করা হবে। আরও জানান, বিজেপিও ক্ষমতায় থাকাকালীন একই কাজ করেছিল। ৫ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা আয় যে সব মন্দিরের, তাদের থেকে ৫ শতাংশ কর নেওয়া হত। ২৫ লক্ষের উপরে আয়ে ১০ শতাংশ কর দিতে হত।

 

[আরও পড়ুন: আজব কাণ্ড! খাতার বদলে জমা পড়ল প্রশ্ন, উচ্চমাধ্যমিকের উত্তরপত্র নিয়ে বাড়িতে পরীক্ষার্থী]

সিদ্ধারামাইয়ার মন্ত্রীর দাবি, “সরকার ‘ধর্মিক পরিষদ’ গড়েছে। সেখানেই যাবে মন্দিরগুলি থেকে প্রাপ্ত অর্থ। ওই পরিষদের উদ্দেশ্য হল আর্থিকভাবে দুর্বল পুরোহিতদের উন্নতি, সি গ্রেড মন্দিরের উন্নতি এবং দুঃস্থ পুরোহিতদের সন্তানদের শিক্ষা প্রদান করা। মন্দিরের টাকায় এই কাজগুলিই হবে।” এর পরেও অবশ্য রাজনৈতিক আকচাআকচি অব্যাহত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ