Advertisement
Advertisement
দেশে করোনা সংক্রমণ

আনলকের দ্বিতীয় দিনেও ঊর্ধ্বমুখী দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ, আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৮১৭১, মৃত্যু হয়েছে ২০৪জনের।

New Corona statistics in India: 8171 cases in last 24 hours almost reaching total to 2 lakhs

ফাইল ফটো

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 2, 2020 9:51 am
  • Updated:June 2, 2020 9:53 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’লক্ষের কোটা পেরনো আর সময়ের অপেক্ষামাত্র। এই মুহূর্তে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭০৬। দেশ আনলক শুরু হওয়ার দ্বিতীয় দিন সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া নয়া পরিসংখ্যান দেখে চিন্তার ভাঁজ আরও খানিকটা চওড়া হল বিশেষজ্ঞ থেকে আমজনতার কপালে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮১৭১জন, মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের। সবমিলিয়ে দেশে করোনার বলি ৫৫৯৮।

বিশ্বের করোনা পরিসংখ্যানের নিরিখে ভারতের স্থান এই মুহূর্তে সপ্তম। রবিবারই সংক্রমণের হারে পিছনে ফেলে দিয়েছে জার্মানি, স্পেনকে। মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যে ইঙ্গিত, খুব দ্রুতই এই তালিকায় আরও উপরের দিকে উঠতে চলেছে দেশ, অর্থাৎ পরিস্থিতির গ্রাফ অবনমনের দিকে।

[আরও পড়ুন: দলবল নিয়ে শ্যালিকার বিয়েতে করোনা আক্রান্ত জামাইবাবু, চরম আতঙ্কে নিমন্ত্রিতরা]

তবে আশাও রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, করোনা আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি কিন্তু বাড়ছে সুস্থতার হারও। এখনও পর্যন্ত দেশে ৯৫,৫২৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাকিদের মধ্যে অনেকের শারীরিক অবস্থাই স্থিতিশীল। দেশে নমুনা পরীক্ষা এবং করোনা হাসপাতালের সংখ্যাও বেড়েছে। তাই দ্রুত শনাক্ত করে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

[আরও পড়ুন: রাজ্যসভার ১৮টি আসনে ভোটগ্রহণের নির্ঘণ্ট প্রকাশ নির্বাচন কমিশনের]

তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে উপসর্গহীন করোনা রোগীর সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকাংশের শরীরেই কোনও উপসর্গ দেখা না যাওয়ায় আগাম সতর্কতা নেওয়া সম্ভব হয়নি। সোয়াব টেস্টের মাধ্যমে যতক্ষণে কাউকে করোনা রোগী বলে চিহ্নিত করা গিয়েছে, ততক্ষণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে অনেকটাই। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে তার মাঝেই ধাপে ধাপে দেশের বেশিরভাগ অংশ থেকে লকডাউন শিথিল হতে থাকায় এই সময়ে সতর্কতা আরও বেশি জরুরি। তা নইলে সংক্রমণে লাগাম পরানো খুবই কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি আরও দ্রুত পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়ে চিকিৎসা শুরু করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে পরামর্শ তাঁদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ