Advertisement
Advertisement
১ ফেব্রুয়ারির ফাঁসির নির্দেশে স্থগিতাদেশের দাবি

নির্ভয়া কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অক্ষয়ের মৃত্যু পরোয়ানা বাতিলের আরজি

ফাঁসিতে স্থগিতাদেশের দাবিতে ফের দিল্লি কোর্টের দ্বারস্থ অক্ষয়।

Nirbhaya case convict's curative plea rejected by SC.,
Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 30, 2020 1:48 pm
  • Updated:January 30, 2020 8:13 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হল নির্ভয়ার ধর্ষক অক্ষয় সিংয়ের ‘কিউরেটিভ’ আরজি । ফাঁসির রায় সংশোধনীর আরজি বা কিউরেটিভ আরজি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সে। তবে  এদিন অক্ষয়ের আরজি খারিজ হয়ে গেলেও, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আরজি জানানোর পথ খোলাই থাকছে। ফলে ১ ফেব্রুয়ারি আদৌ নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসি হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই গেল।

ফাঁসির দু’দিন আগে ফের আদালতের দ্বারস্থ হল নির্ভয়ার ধর্ষক অক্ষয় সিং। ১ ফেব্রুয়ারি  নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী চারজনের ফাঁসি হওয়ার কথা। এই মর্মে ফাঁসির পরোয়ানা জারিও হয়ে গিয়েছে। জারি হওয়া সেই মৃত্যু পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে আবেদন জানাল অক্ষয়। নির্ভয়া কাণ্ডে অন্যতম দোষী অক্ষয়ের দাবি, ওই চারজন নিজেদের বাঁচাতে এখনও বেশকিছু আইনি সহায়তা পেতে পারে। তাই মৃত্যুদণ্ডের দিন পিছিয়ে দেওয়ার আরজি জানিয়েছে সে।

[আরও পড়ুন : নেই প্রমাণ, যোগীরাজ্যে CAA বিরোধী বিক্ষোভকারীদের অর্ধেককেই মুক্তি দিল আদালত]

এদিকে বুধবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আরজি জানিয়েছে দিল্লির ধর্ষণ মামলার আরেক দোষী বিনয় শর্মা। তার আইনজীবীর দাবি, “দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন জেলেই তার মক্কেলেরে একাধিকবার মৃত্যু হয়েছে। তাই মৃত্যুদণ্ড থেকে তার মক্কেল বিনয়কে রেহাই দেওয়া হোক।” রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে বিনয় জানিয়েছে, ২০১২ সালে ওই ভয়ংকর দিন তার জীবন সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। তাই মৃত্যু একমাত্র শাস্তি হতে পারে না। 

[আরও পড়ুন : ‘ওঁরা একই মতবাদে বিশ্বাসী’, মোদি-গডসেকে একাসনে বসালেন রাহুল গান্ধী]

গত ১৭ জানুয়ারি মুকেশের প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ করে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ‘কেন আরজি খারিজ করা হল?’ তা জানতে চেয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুকেশ সিংয়ের আইনজীবী অঞ্জনা প্রকাশ। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি আর ভানুমতী, বিচারপতি অশোকভূষণ, বিচারপতি এস বোপানার বেঞ্চে শুনানি ছিল মঙ্গলবার। সেখানে মুকেশের আইনজীবী দাবি করেন, আবেদন খারিজের সময় একাধিক বিষয় ভেবে দেখা হয়নি। তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনজীবী বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে মুকেশের ডিএনএ নমুনা পেশ করা হয়নি। মানে মুকেশ গণধর্ষণে যুক্ত ছিল কি না, তা এখনও প্রমাণসাপেক্ষ। আর সেই কারণেই নিজের মক্কেলের মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশের আরজি জানান তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ