সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়ার ধর্ষক-খুনি বিনয় শর্মার মাথার চোট গুরুতর। সে তার মাকেও চিনতে পারছে না। তাই মক্কেল বিনয়ের উন্নতমানের চিকিৎসার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী এ পি সিং। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে দিল্লির বিশেষ আদালত তিহার জেল কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠিয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গোটা বিষয় নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে। প্রসঙ্গত, ৩ মার্চ নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসির দিন ধার্য হয়েছে।
Nirbhaya Case: Application mentions that he sustained grievous head injury, fracture in his right arm, mental illness and schizophrenia, & refer him to Institute of Human Behaviour & Allied Sciences (IHBAS) hospital. https://t.co/TXI22OL6FR
— ANI (@ANI) February 20, 2020
[আরও পড়ুন : জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ পড়ুয়াকে সমন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকল দিল্লি পুলিশ]
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিনয়ের মানসিক স্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে ফাঁসি থেকে রেহাই দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন আইনজীবী এ পি সিং। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে তিহার জেলের দেওয়ালে মাথা ঠুকতে থাকে বিনয়। সঙ্গে সঙ্গে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে সরিয়ে নিয়ে যায়। চোটও তেমন গুরুতর নয় বলেই জানানো হয়েছে। কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ বিনয়ের আইনজীবী। চোট গুরুতর বলে দাবি করে এ পি সিং আদালতের দ্বারস্থ হন। জানান, বিনয়ের ডান হাত ভেঙে গিয়েছে। মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। তার মাকেও চিনতে পারছে না। এমনকী বিনয়কে স্ক্রিৎজোফেনিয়ার রোগী বলেও দাবি করেন তিনি। এরপরই তাকে Institute of Human Behaviour & Allied Sciences (IHBAS) হাসপাতালে রেফার করার দাবি জানান। আদালত ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে।
Nirbhaya Case: One of the death row convicts, Vinay Sharma through his lawyer AP Singh, has moved a Delhi court seeking direction to Tihar Jail authorities to provide high level medical treatment to him.
— ANI (@ANI) February 20, 2020
[আরও পড়ুন : প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না ‘জাতীয়তাবাদ’, অনুগামীদের নির্দেশ মোহন ভাগবতের]
এদিকে আবার দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিনয়ের আইনজীবী। এ পি সিংয়ের দাবি, নির্বাচনী বিধি কার্যকর হয়ে যাওয়ার পর বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজের সুপারিশ করে দিল্লি সরকার। যা বৈধ হয়। এমনকী উপমুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষরের বদলে হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিনশট ব্যবহার করা হয়েছিল। এ সবের বিরুদ্ধে দিল্লি নির্বাচন কমিশনের কাছে পিটিশন জমা করা হল।