Advertisement
Advertisement

Breaking News

সুপ্রিম কোর্টে খারিজ বিনয় শর্মার আরজিও

নির্ভয়া মামলার শুনানি চলাকালীন এজলাসেই জ্ঞান হারালেন বিচারপতি, পিছোল রায়দান

আরেকটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হল বিনয়ের আরজি।

Nirbhaya convict Vinay's plea against mercy petition dismissed
Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 14, 2020 3:11 pm
  • Updated:February 14, 2020 3:39 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়া মামলার শুনানি চলাকালীন এজলাসেই জ্ঞান হারালেন বিচারপতি আর ভানুমতী। কেন্দ্রের তরফে চার দোষীকে আলাদা-আলাদা ফাঁসি দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন জ্ঞান হারান বিচারপতি আর ভানুমতী। পরে জানা যায় বিচারপতি জ্বরে ভুগছিলেন। শুনানি চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ফলে মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি হবে বলে খবর।

এদিকে নির্ভয়ার ধর্ষক বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সে। শুক্রবার তার পিটিশান খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে ফাঁসি এড়াতে বিনয়ের সামনে আর কোনও আইনি পথ খোলা রইল না। পাশাপাশি বিনয়ের মানসিকভাবে সুস্থ নয় বলেও আদালতে জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী। এদিন তাঁর সেই দাবিও খারিজ করে দেন বিচারপতি। রায় দেওযার সময় আদালত জানায়, মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী বিনয় সুস্থই আছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আদালতে শুনানি চলাকালীন বিনয়ের আইনজীবী এপি সিং দাবি করেন, তাঁর মক্কেলকে বেআইনিভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এমনকী তার উপর অত্যাচারও চালিয়েছে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। যদিও বিনয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সরকার। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “আইনজীবী এপি সিং দাবি সঠিক নয়। এ বিষয়ে বিচারবিভাগীয় পর্যালোচনার বিশেষ কোনও জায়গা নেই। কারণ রাষ্ট্রপতি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।” এদিন বিনয়ের আইনজীবীর সমস্ত দাবি খারিজ করে দেয় আদালত।

[আরও পড়ুন : প্রেমদিবসে সেজে উঠেছে শাহিনবাগ, মোদির সাক্ষাৎ চান বিক্ষোভকারী মহিলারা]

২০১২ সালে দিল্লির চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা শিউড়ে উঠেছিল গোটা দেশ। তারপর থেকে টানা সাত বছর ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। এক নাবালক ছাড়াও পেয়ে গিয়েছে। এক অভিযুক্ত জেলের মধ্যে আত্মহত্যা করে। বাকি চারজনের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু আইনি মারপ্যাঁচে পরপর দুবার ফাঁসির দিনক্ষণ পিছিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ করে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কেন তার আরজি খারিজ করা হল, তা নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুকেশের আইনজীবী। তার সেই আরজিও খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ফলে তার আর ফাঁসি এড়ানো আর কোনও আইনি পন্থা বাকি নেই। আরেক দোষী অক্ষয়কুমার সিংয়ের (ঠাকুর) নামে ফাঁসির পরোয়ানা জারি হয়েছিল। কিন্তু সেই আরজি বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অক্ষয়। রায় সংশোধনের সেই আরজিও খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আরজি জানায় সে।

[আরও পড়ুন : বাদ মমতা-রাহুল, শপথগ্রহণে মোদিকে আমন্ত্রণ জানালেন কেজরি]

এদিকে ধর্ষণ কাণ্ডের সময় পবন গুপ্তা নাবালক ছিল বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু পুলিশি তদন্তের সময় তাকে নাবালক হিসেবে দেখানো হয়নি। এ নিয়ে আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পবনের আইনজীবী। সেসময় তার আরজি খারিজ করে দেওয়া হয়। কেন তার সেই আরজি খারিজ করা হল, এনিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তার আইনজীবী। তার সেই আরজিও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এদিন বিনয়ের আরজি খারিজের ফলে চার দোষীর ফাঁসির আইনি গেঁড়ো কিছুটা কাটল বলে মনে করা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ