Advertisement
Advertisement

প্রেমিক না থাকলে শ্লীলতাহানির ঝামেলাও নেই, ছাত্রীদের পরামর্শ বিজেপি নেতার

আজব নিদান!

'No boyfriend, no molestation', BJP MLA' remedy to end heinous crime
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 26, 2018 1:45 pm
  • Updated:July 23, 2019 1:52 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘শ্লীলতাহানি থেকে বাঁচতে চাইলে, প্রেমিকের থেকে দূরে থাকতে হবে।’ এমনটাই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক। শ্লীলতাহানি রুখতে এহেন আজব নিদানে ইতিমধ্যে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।

[রাম নবমীর মিছিলে হিন্দুদের জন্য সরবতের গ্লাস হাতে এগিয়ে এলেন ইয়াসিররা]

Advertisement

রবিবার মধ্যপ্রদেশের গুনায় একটি সরকারি কলেজের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক পান্নালাল শাক্য। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রেম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা নিয়ে প্রায়ই তাঁকে  সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে তিনি নাকি সাফ জানিয়ে দেন যে, পশ্চিমের কুপ্রভাব থেকে সবার আগে নিজেদের আড়াল করতে হবে। প্রেমিক না থাকলেই শ্লীলতাহানির হাত এড়াতে পারবেন ছাত্রীরা। ছাত্ররাও যেন বান্ধবীদের প্রেমিকা না করে তোলেন, সে বিষয়েও সতর্ক করা হয়।

Advertisement

গুনা আসন থেকে নির্বাচিত বিধায়ক বলেন,” আমাদের দেশে দিনে চারবার নারীর আরাধনা করা হয়। তাই তাঁদের প্রতি অবিচার ও অত্যাচার কখনই মেনে নেওয়া হবে না। পশ্চিমী সংস্কৃতির কুপ্রভাব পড়ছে দেশে। নিজেদের পরিচয় ও সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে হবে।” এদিন কলজের অনুষ্ঠানে ছাত্রী-ছাত্রীদের মোবাইল বিলি করা হয়। সেখানে ছাত্রীদের মোবাইলের অপব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার উপদেশ দেন শাক্য।

ইতিমধ্যে বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কারও ব্যক্তিগত সম্পর্কে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেতাদের কে দিয়েছে? উঠছে এমন প্রশ্ন। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছেন গুনার বিধায়ক। ক্রিকেটার বিরাট কোহলি ও অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মাকে ‘দেশদ্রোহী’ বলেছিলেন তিনি। কারণ তাঁরা বিদেশে বিয়ে করেছেন। দেশের মধ্যে নাম ও অর্থ উপার্জন করে ইটালির মাটিতে খরচ করা দেশদ্রোহিতা বলেই মনে করেছিলেন তিনি।

[পুরুষ অবয়ব ঝেড়ে ফেলে মেঘ এখন আলিপুর আদালতের আইনজীবী]

উল্লেখ্য, নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে চাপে গেরুয়া শিবির। আগেই দলীয় নেতা-কর্মীদের এই বিষয়ে সাবধান করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে তাঁর কথা যে মোটেই কানে তুলছেন না নেতারা এদিনের ঘটনায় তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ