সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে কিছু কাজকর্মে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ‘হটস্পট’ নয়, এমন এলাকায় বেশকিছু অর্থনৈতিক কাজকর্ম শুরু করার সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। এবার সেই কাজে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়োগ করা যাবে বলে জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে লকডাউন ওঠার আগে তাঁদের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার উপর আরও একবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশাপাশি ইটভাটা মালিক, ১০০ দিনের কাজ এমনকী কৃষিক্ষেত্রেও সুবিধা করে দেবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Ministry of Home Affairs (MHA) issues Standard Operating System for the movement of stranded labourers within the state/union territory – “There shall be no movement of labour outside the state/UT from where they are currently located.” pic.twitter.com/qo0UFccp6r
— ANI (@ANI) April 19, 2020
রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি অ্যাডভাইসরি রাজ্যগুলিকে পাঠিয়েছে। সেখানে স্থানীয় প্রশাসনকে সরকারি ত্রাণ শিবির বা আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তাঁরা কোন ধরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বা কোন কাজে তাঁরা করতে পারবেন তার তালিকা তৈরি করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে ওই সংশ্লিষ্ট এলাকায় চালু হওয়া অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে তাঁদের সংযুক্ত করা যায়। ফলে একদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে নগদের যোগান আসবে। আবার ঠিকাশ্রমিকের অভাবে ফসল কাটা, ১০০ দিনের কাজ বা ইটভাটার কাজ আটকে থাকবে না।
[আরও পড়ুন : পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর জীবানুনাশক স্প্রে! যোগী প্রশাসনকে খোঁচা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের]
এই অ্যাডভাইসরিতে আরও বলা হয়েছে, কোনও পরিযায়ী শ্রমিক যে রাজ্যে কাজ করতেন সেই রাজ্যেই যদি আটকে থাকেন তাঁকে কাজের জায়গায় ফেরত পাঠানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই শ্রমিকের শারীরিক পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। এমনকী, বাসে করে তাঁদের সেখানে পাঠানোর সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটাও জরুরি। তবে কোনওভাবেই এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে পারবেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তা স্পষ্ট করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
[আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রে কোয়ারেন্টাইন থেকে বেরোনোর পরেই গ্রেপ্তার তবলিঘি জামাতের ২৯ জন সদস্য]
কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিভিন্ন মহল। ২০ এপ্রিল থেকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ছাড় দেওয়া হলেও ঠিকাশ্রমিকের অভাব হত বলে মনে করা হচ্ছিল। কেন্দ্র এই পদক্ষেপে সেই শ্রমিকের খরা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকের হাতে টাকাও আসবে। সরকারের উপরও চাপ কমবে।