Advertisement
Advertisement

‘কাশ্মীরে তেরঙ্গা ধরার জন্য কেউ থাকবে না’

প্রশ্নের মুখে বিজেপি-পিডিপি জোট।

No one will hold Tricolour in Kashmir: Mehbooba Mufti
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 29, 2017 9:06 am
  • Updated:July 29, 2017 1:52 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরিদের স্বার্থরক্ষায় রয়েছে সংবিধানের দুটি বিশেষ ধারা। ৩৭০ ও ৩৫(এ) ধারায় রদবদল করা হলে জ্বলবে উপত্যকা। কার্যত এভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর বক্তব্য, এমন কিছু হলে কাশ্মীরে তেরঙ্গা ধরার কেউ থাকবে না। উল্লেখ্য, সংবিধানের ওই দু’টি ধারার অন্তর্গত বেশ কিছু বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পায় কাশ্মীর।

[সন্ত্রাসীদের আর্থিক মদত, কাশ্মীরে গ্রেপ্তার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা]

Advertisement

শুক্রবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মেহবুবা। একাধিক ইস্যুতে শরিক দল বিজেপির সঙ্গে যে সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকছে তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে যায় তাঁর বয়ানে। কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে নিয়ে শান্তি আলোচনার পক্ষে মেহবুবা। কিন্তু কেন্দ্রের সাফ কথা উপত্যকায় পাথর নিক্ষেপকারী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা নয়। উপত্যকায় পাথর নিক্ষেপকারী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা নয় এমনটাই জানিয়েছেন রাম মাধব, অমিত শাহর মত হেভিওয়েট নেতারা।একই পথ অবলম্বন করেছে কেন্দ্রও। পাশাপাশি জোরদার করে তোলা হয়েছে জঙ্গিদমন অভিযান। রাজ্যের বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে দুরত্ব বাড়ছে পিডিপি-র। বেশ কিছুদিন থেকেই কাশ্মীরে জন্য সংবিধানের বিশেষ ধারা ৩৭০ ও ৩৫ (এ) রদ করার দাবি উঠেছে খোদ বিজেপির অন্দর থেকেই। আর তা নিয়েই তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন মুফতি।

Advertisement

[আমেরিকা হস্তক্ষেপ করলে আর একটা সিরিয়া হবে কাশ্মীর, বেনজির মন্তব্য মেহবুবার]

“বিশেষ অধিকার না থাকলে জম্মু ও কাশ্মীরের অস্তিত্বই থাকত না। কাশ্মীর ছাড়া ভারত অসম্পূর্ণ। তাই কাশ্মীরিদের বিশেষত্বের কথা মাথায় রাখতে হবে। আমাদের জানতে হবে কেন তরুণরা পাথর ছোড়ার দিকে ঝুঁকছে। ‘আজাদি’ নিয়ে কাশ্মীরিদের যে ধারণা রয়েছে তা পালটাতে হবে।”  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই বলেন মুফতি। জঙ্গিদের অর্থ জোগানের অভিযোগে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ-র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে বেশ কয়েকজন হুরিয়ত নেতা। আর এতেই নারাজ মুফতি। তাঁর মতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গ্রেপ্তার করে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা যাবে না। একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই তা সম্ভব। তবে ২০১৯-এর বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’দলের কেউই যে নিজের অবস্থান থেকে নড়বে না তা একপ্রকার স্পষ্ট। এবং এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে বিজেপি-পিডিপি জোট সরকারের ভবিষ্যত নিয়ে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ